হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়াঃঃ
জগন্নাথপুরে হামহামি জলমহালের পানি শুকিয়ে ইজারাদার মাছ শিকার করায় হাওরের ফসলরক্ষার স্লুইচগেইট ও বেঁড়িবাধ হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এবারের বোর ফসল পানিতে ডুবতে পারে এমন শঙ্কায় উদ্বিগ্ন কৃষকেরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জগন্নাথপুরের সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের ফসলরক্ষার জন্য উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ভুরাখালি গ্রামের নিকটবর্তী এলাকায় স্থাপিত হয় একটি স্লুইচগেট। এই স্লুইচগেট দিয়ে বয়ে গেছে সরকারি হামহামি জলমহাল। জলামহলটি ইজারাদাররা মাছ শিকারের জন্য ইজারা নিয়ে সরকারের নিয়ম ভঙ্গ করে পানি সেচের মাধ্যমে মাছ ধরার জন্য শুকিয়ে ফেলছেন। এতে করে স্লুইচগেইটের আশপাশ ভেঙ্গে স্লুইচগেইট ও ফসলরক্ষার বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, স্লুইচগেটের ক্ষতি হবে বলে কখনও পানি শুকিয়ে এভাবে মাছ ধরা হয়নি। কিন্তু এবার ইজারাদাররা কৃষকদের বাধা উপেক্ষা করে বিল শুকিয়ে মাছ ধরছেন। ফলে স্লুইচগেইট ও বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রনধীর কান্তি দাস রান্টু বলেন, আমি স্থানীয় ইউ/পি সদস্য ও একজন কৃষক হিসেবে জলমহালের ইজাদারদের পানি শুকিয়ে মাছ না ধরার অনুরোধ করি কিন্তু তারা কথা না শুনে পানি শুকিয়ে মাছ শিকার করার ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে ফসল রক্ষার বেড়িবাধ ও স্লুইচগেটটি। কৃষকেরা জানান, হামহামি জলমহালের ইজারাদাররা মাছ ধরার জন্য পানি শুকিয়ে ফেলছেন। এজন্য স্লুইচগেইটসহ বেঁড়িবাধ ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতোমধ্যে স্লুইচগেটের ব্লক ভেঙে পড়ছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে হাওরে ফসলডুবির শঙ্কা রয়েছে। আমরা অসহায় কৃষক চরম আতংকের মধ্যে রয়েছি।
হামহামি জলমহালের ইজারাদার যুগলনগর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি উফেন্ড চন্দ্র দাস জানান, আমরা পানি শুকিয়ে মাছ শিকার করলে প্রশাসন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
Leave a Reply