মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সচিবালয়ে ৫ ঘন্টা আটক করে রেখে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন “দৈনিক দেশবাংলা টুয়েন্টি ফোর ডটকমের উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সংবাদ ফোরামের ইউকের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, দৈনিক দেশ বাংলা টুয়েন্টিফোর ডটকমের উপদেষ্টা ঢাকা সিকদার মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাক্তার মুজিবুর রহমান, দৈনিক দেশ বাংলা টুয়েন্টিফোর ডটকমের উপদেষ্টা আতিকুর রহমান চৌধুরী জুবের, দৈনিক দেশ বাংলা টুয়েন্টিফোর ডটকমের উপদেষ্টা হুমায়ুন কনির, দৈনিক দেশ বাংলা টুয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক রিয়াজ রহমান, দৈনিক দেশ বাংলা টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া, দৈনিক দেশ বাংলা টুয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মুকিম উদ্দিন। একজন সাংবাদিককে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে আটক করে, হেনস্তা করার পরে অসুস্থ্য অবস্থায় তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। প্রথম আলো’র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হেনস্তা করা, তাঁকে আটক করার ঘটনা বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলেননি। এই ঘটনার নিন্দা জানানোই যথেষ্ট নয়, এর বিরুদ্ধে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিবাদ এবং এই ধরণের নিপীড়নমূলক আচরণের জন্যে যারা দায়ী তাঁদের বিচার নিশ্চিত করার জন্যে এখনই পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
কিন্ত সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্তদের সকলেরই এই মুহুর্তে দরকার সম্মিলিত পদক্ষেপ নেবার কথা বিবেচনা করা।
দেশের প্রতিটি পত্রিকা সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে অবিলম্বে এই বিষয়ে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া , রোজিনা ইসলামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং এই ধরণের আচরণ বন্ধের নিশ্চয়তা আদায় করা। রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার ঘটনা সাংবাদিকদের ওপরে হামলার নতুন অধ্যায়, কিন্ত নতুন ঘটনা নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়েই সাংবাদিকরা বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছেন। তাঁদের পাশে দাড়ানোর লোক পর্যন্ত নেই। সাংবাদিকদের অনৈক্য, দলীয় বিভক্তি এবং পেশাদারী মনোভাবের অনুপস্থিতি এই ধরণের নির্যাতন নিপীড়নকে ক্রমাগতভাবে স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত করেছে।
এই ঘটনা এবং আগেও অসংখ্য ঘটনায় সাংবাদিকদের ওপরে নির্যাতনের কারণ স্পষ্ট যখনই কোনও সাংবাদিক ক্ষমতাসীনদের স্থানীয় বা জাতীয় পর্যায়ে জবাবদিহির মুখোমুখির চেষ্টা করেছেন সেই সময়েই তাঁদেরকে হয়রানি, নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। জবাবদিহির অনুপস্থিত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যে কোনও ধরণের জবাবদিহি দাবি করলেই তার পরিণতি হয় নির্যাতন, নিপীড়ন। এই ঘটনা অন্য সাংবাদিকদের জন্যে সুস্পষ্ট বার্তা তাঁরা সেটা শুনতে বুঝতে পারলেও করণীয় বিষয়ে উদাসীন। যা গণমাধ্যমের স্বকীয়তা ও স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে শুধু রোজিনা ইসলাম নয় দেশের প্রত্যেক সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সচেষ্ট হই।
Leave a Reply