শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা রেলওয়ের সিগন্যাল ঘরটি যেন এখন গলার কাঁটা। যেকোনো সময় হেলে পড়ে দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। তাইতো শায়েস্তাগঞ্জের রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার এ বি এম সাইফুল ইসলাম আধুনিকতার যোগে পুরনো এ ঘরটি অপ্রয়োজনীয় হিসেবেই উল্লেখ করছেন।
তিনি বলেন, আসলে আমরা এখন আধুনিক পদ্ধতিতে ট্রেন পরিচালনা করছি। সে কারণে এই ঘরটি আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। যেহেতু ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং এটি বহু পুরনো সেহেতু সেটিকে সরিয়ে ফেলাই উত্তম। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় আনবেন বলে আমি মনে করি।
এদিকে ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনটি জেলার একমাত্র জংশন। তখনকার সময়ই রেলওয়ে সিগন্যাল ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এক সময় শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন থেকে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে একটি ট্রেন ছেড়ে যেত, অপরদিকে আসামপাড়া বাল্লা বর্ডার পর্যন্ত অন্য আরেকটি ট্রেন ছেড়ে যেত। যে কারণে এটিকে জংশন হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম -সিলেট এই জংশন এর উপর দিয়েই এখন পর্যন্ত নিয়মিত ট্রেনগুলো যাতায়াত করছে। বর্তমানে হবিগঞ্জের সাথে আসামপাড়া বর্ডারের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তৎকালীন সময়ে এনালগ পদ্ধতিতে সিগন্যাল এর মাধ্যমে সেগুলো চলত। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সিগন্যাল রেল যাতায়াত করার কারণে পুরাতন ডিজিটাল সিগন্যাল ঘরটি একেবারেই অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিগন্যাল ঘরটির বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘরটি ধ্বসে পড়তে পারে। এই ঘরটির পাশ দিয়ে রেললাইন বহমান এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াত থাকায় যে কোন মুহূর্তে যে কারো উপরে অথবা ট্রেনের উপরেও ঘরটি ভেঙ্গে পড়লে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন সহকারী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান সাথে কথা বললে তিনি জানান, রেল স্টেশনটি আধুনিকায়নের কাজ চলছে, ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আশা করছি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে সিগন্যাল (এমএস) শারিফ খান জানান, আমরা এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সিগনাল কাজ চালিয়ে নিচ্ছি সেহেতু এনালগ পদ্ধতিতেই সিগন্যাল ঘড়টি আমাদের কোন কাজে আসছে না। অবশ্যই এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘর, যেকোনো মুহূর্তে অঘটন ঘটতে পারে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এটি সরিয়ে নেয়া হবে
Leave a Reply