তাহিরপুর প্রতিনিধি:
আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন স্লোগান ধারণ করে,বিশ্ববাসীকে পর্যটনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান সম্পর্কে অবহিত করাই এবারের বিশ্ব পর্যটন দিবসের লক্ষ্য। দিবসটি উপলক্ষে সুনামগঞ্জ দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট ও পরিবেশ বান্ধব পর্যটন এলাকা হিসাবে ঘোষিত টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরকে টেকসই পর্যটন উন্নয়নে ইকো-ট্যুরিজমের নিয়মনীতি বাস্তবায়ন করে স্থানীয়দের কর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহণ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণমূলক সামগ্রিক নীতিমালার ভিত্তিতে কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণ করতে হবে। কর্মপরিকল্পনা ছাড়া শুধু বাইরে থেকে এসে পর্যটনে বিনিয়োগ করলে পর্যটন এলাকার স্থানীয় হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সংকট তৈরি হবে এবং পর্টনও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই হবে না।আজ টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় এ রকম মতামত তুলে ধরেছেন। উক্ত সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন স্থানীয় পরিবেশ কর্মী মাষ্টার সমীরণ তালুকদার, সাংবাদিক আহাম্মদ কবির সহ অনেকেই।
তারা জানান ইকো ট্যুরিজম এলাকা হিসাবে ঘোষিত টাঙ্গুয়ার হাওরে,ইকো-ট্যুরিজম নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে হাওরে প্রবেশ করে এদিক সেদিক ঘুরাফেরা এবং হাওরের প্রাকৃতিক সম্পদ অপব্যবহার করে হাওরের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে,যাহা একটা পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার জন্য হুমকি স্বরুপ।এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের দাবি জানান তারা।আর জানান টাঙ্গুয়ার হাওর পর্যটকদের পছন্দের ও একটি পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চল হিসাবে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ এই হাওরের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের কথা বিভিন্ন সভাসমাবেশে দায়িত্বশীলরা বলে থাকলেও বাস্তবে কিছুই দেখা যায়নি। টাঙ্গুয়ার হাওরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা ও থাকাখাওয়া এবং নিরাপত্তার অভাবের কারণে,পর্যটকদের আনাগোনাও হয়তো বন্দ হয়ে যেতে পারে।প্রতি বছর আনুষ্ঠানিক ভাবে পালন করা হয় বিশ্ব পর্যটন দিবস। অথচ এ অঞ্চলের সম্ভাবনাময় একটি পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তেমন ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। শুধু দিবস এলেই নানা আয়োজনে আনুষ্ঠানিক ভাবে দিবসটি পালন করেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের পর্যটন শিল্প দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় সামনের দিকে এগোতে পারছেনা।কিন্তু প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওরের এই সৌন্দর্য দেখে যে কেউ সৌন্দর্যের প্রেমে পড়বে। বর্ষা ও শীত এই দুই মৌসুমে দুই রকমের সৌন্দর্যে অপরুপ হয়ে ওঠে এই হাওর।
Leave a Reply