বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর নব-বধুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ভাড়িওয়ালা সহ তার পুত্রকে আটক করেছে র্যাব-৯।
জানাযায়, নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বড় আলীপুর গ্রামের সবজু মিয়ার ২য় স্ত্রীর পুত্র জাকারিয়া তার মা বাবার ইচ্ছা মতে গত ৩ মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের কন্যা রাজনা বেগম (২০)কে বিয়ে করে। বিয়ের পর স্বামী জাকারিয়া তার সৎ বাবার বাড়িতে বসবাস করে। পরে তাদের মধ্যে নানান ঝগড়া ঝাটির কারণে গত ৮/১০দিন পূর্বে স্বামী জাকারিয়া সে তার স্ত্রী রাজনা বেগমকে নিয়ে একটি ভাড়াটিয়া বাসায় উঠে।
পরে গত ৩১ জানুয়ারি রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ এলাকায় জাকারিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা অর্থাৎ শফিক আলীর মালিকানাধীন বাসায় নব বধু রাজনার গলা কাটা লাশের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদের নের্তৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ সময় বাসার বাইরে তালাবদ্ধ ছিল। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজনা ও তার স্বামী জাকারিয়া এক সঙ্গে বাসায় ছিল। পরে বুধবার নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রাজনার ভাই সুফি মিয়া। মামলায় অভিযোক্তরা হলেন, রাজনার স্বামী জাকারিয়া, শ্বশুর সবুজ মিয়া, বাড়িওয়ালা শফিক মিয়া, তার পুত্র মাসুম মিয়া ও প্রতিবেশী এরশাদ মিয়া।
এতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯ এর হবিগঞ্জ ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল উপজেলার রসুলগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বাড়িওয়ালা শফিক আলী ও তার পুত্র মামুন মিয়াকে র্যাব-৯ আটক করে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
এ ব্যাপারে নিহত রাজনা বেগম এর ভাই সুফি মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি আমার বোন রাজনা বেগমের হত্যাকারীদের সঠিক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই স্বপন সরকার জানান- মামলার বাদী যৌতুকের জন্য রাজনাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোঃ আমিনুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামী থানা হাজতে আছে। কালকে শনিবার সকালে তাকে কোর্টে হাজির করা হবে। অন্যান্য আসামীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply