মোঃ মুকিম উদ্দিন সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত সদস্যের লোকজনের হামলায় একই পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে চারজনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানা যায় পরাজিত ইউপি সদস্যকে ঐ পরিবারের লোকজন ভোট না দেয়ায় পরাজিত সদস্যের লোকজন এই পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁরা গ্রামের মন্দিরের হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত চারজনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের টুকেরগাঁও গ্রাম। টাকাটুকিয়া গ্রামের মোঃ জহুর আলম নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডে সাধারন সদস্য পদে জয় লাভ করেন। রসুলপুর গ্রামের পরাজিত সদস্য প্রার্থী আলা উদ্দিনের লোকজন টুকেরগাঁও গ্রামের সুকেশ বর্মন এর বাড়িতে গিয়ে আলা উদ্দিনকে ভোট না দেয়ায় সুকেশ বর্মনকে গালমন্দ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাঁরা সুকেশ বর্মনের পরিবারের সদস্যদের মারপিট শুরু করেন। এতে সুকেশ বর্মন (৪৫), তার স্ত্রী কেলন রানী বর্মন (৩৫), ছেলে শিপন বর্মন(১৭) ও মেয়ে ঋতু বর্মন(২৬) আহত হন।
সুকেশ বর্মনের পরিবারের লোকজন বলেন, আলা উদ্দিনের লোকজন আমাদের বাড়িতে আসে এবং আলা উদ্দিনকে ভোট না দেয়ার অভিযোগ তুলে আমাদেরকে গালিগালাজ শুরু করে। আমরা এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে আলা উদ্দিনের লোকজনের হামলার শিকার হই। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, বাড়ির পাশে থাকা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা।
টুকেরগাঁও কালি মন্দির কমিটির সভাপতি গোপাল বর্মণ বলেন, কে বা কারা আমাদের মন্দিরে রক্ষিত তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে আমরা দেখিনি। তবে প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তিনি।
অভিযোগের ব্যাপারে আলা উদ্দিন বলেন, আমার নির্বাচনে হারলে কারো সাথে আমার কোন শত্রুতা নাই। প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনার সাথে আমার কোন সমপৃক্ততা নেই। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হউক এবং আমি এই নেক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply