মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল হাশিম ছিলেন একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, কর্মঠ, ন্যায়ের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিবাদী ও সমাজসেবী ব্যাক্তি। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে অতি কম সময়ে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। কর্মগুণে তিনি মানুষের হৃদয়ে বহুকাল বেঁচে থাকবেন। আলহাজ্ব আব্দুল হাশিমের অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত হয়েছি। এমন মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারিনি।
উল্লেখ্য উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের সাদিপুর ও কাদিপুর গ্রামের মধ্যবর্তী ডাউকা নদীর ওপর দুইটি সেতু ও নদীর পার দিয়ে রাস্তা করে আজও কর্মগুনে ইউনিয়নের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন কামারখাল গ্রামের ১নং কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল হাশিম। সাদিপুর ও কাদিপুর গ্রামের মধ্যবর্তী নদী থাকায় যাতায়েতের ভোগান্তিতে ছিল ১০ গ্রামের জনগন। সাধারণ জনগনের সুবিধার্থে নদীর ওপর দুইটি সেতু এবং কাদিপুর থেকে সাদিপুর রোড পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করতে তিনি অনেক বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন। তাহার সৎ সাহসিকতায়, এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগীতায় এবং এলাকার প্রবাসীদের আর্থিক সহায়তায় কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় চেয়ারম্যান হওয়ায় প্রথমেই নজর দেন ইউনিয়নের রাস্তাঘাটে অবহেলিত সকল শ্রেনী পেশার মানুষের যাতায়েতের রাস্তার দিকে। সাদিপুর কাদিপুরের মধ্যবর্তী ডাউকা নদীর জন্য কোনো রাস্তা না থাকায় বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল ও খেয়া নৌকায় নদী পারাপার হতে হতো।
স্থানীয় সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ও সহকারী শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমরা কান্দারগাঁও, নোয়াগাঁও, তেলিকোনা, কামারখাল, গলাখাল, শ্রীধরপাশা, জগদীশপুর, কাদিপুর, সাদিপুর এমন কি দিরাই থানার জনগনের যাতায়াতের জন্য এই একটি রাস্তা আমাদের খুব দরকার ছিল।বর্ষা হলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারতো না। এমন কি গাড়ি দিয়ে জরুরি রোগী নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারতেন না অনেক কষ্ট করে নিতে হতো। আমাদের এই রাস্তাটি ও দুইটি সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল হাশিম।আমাদের এই রাস্তা টি করে দেওয়ায় আমরা উপকৃত হয়েছি। আমরা তিনির রুহের মাগফেরাত কামনা করি। তাকে মহান আল্লাহপাক জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুক এই দোয়া করি।
কামারখাল গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আবু সুফিয়ান তালুকদার বলেন, ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চলের গ্রামগুলোতে প্রায় ১৫ হাজার লোকের বসবাস, আমরা সকলে মিলে মিশে যেন এর রক্ষণাবেক্ষণ করি। আমি ইউনিয়নের সকলের কাছে আমার মরহুম ভাইয়ের জন্য দোয়া চাই।
Leave a Reply