স্টাফ রিপোর্টার: জগন্নাথপুর উপজেলার সামাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চ.দা) মিন্টু রঞ্জন দাস কর্তৃক এক গৃহ পরিচালিকাকে বেধরক পিঠিয়ে গুরুতর আহতের ঘটনাটি আপোষ মিমাংসায় নিস্পত্তি হয়েছে। শিক্ষক মিন্টু রঞ্জন দাস এ কার্যকলাপের জন্য নির্যাতিতা মহিলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না করার প্রতিশ্রæতি দেন। এসময় নির্যাতিতা মািহলার চিকিতসা বাবদ শিক্ষক মিন্টু রঞ্জন দাস ৮হাজার টাকা প্রদান করেন। নির্যাতিতা মহিলা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ইউএনও অফিসের ফয়ছল চৌধুরীর নেতৃত্বে বিষয় আপোষ মিমাংসা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক গৃহপরিচালিকা জানান, আমরা এ ঘটনায় আতংকের মধ্যে আছি। আমরা গরীব মানুষ অন্যের বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমাদেরকে এভাবে মারপিঠ করার পর টাকার মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি হলে অপরাধীরা তাদের অপরাধের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্যাতিতা গৃহ পরিচালিকাকে বেধরক পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। নির্যাতিতা মহিলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুল আলম মাসুমের নিকট মৌখিক অভিযোগ দিলে তিনি মহিলাকে থানার দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন। পরে নির্যাতিতা মহিলা জগন্নাথপুর থানায় গেলে বিষয়টি সমঝোতায় শেষ করে দেয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়।
Leave a Reply