আশাহীদ আলী আশা নবীগঞ্জ থেকে
নবীগঞ্জে চলছে প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য! নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে পড়ানো হচ্ছে শিক্ষার্থী। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। নিয়মনীতির যেন কোনো তোয়াক্কাই নেই। এতে করে করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন এসব শিক্ষার্থীরা। নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ইমামবাড়ি বাজারে শনিবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রীমতপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস লন্ডনীর একটি মার্কেটের ভেতরের দ্বিতীয় তলায় দু’টি কক্ষে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলছে প্রাইভেট কোচিং সেন্টার। প্রতিমাসে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫শত টাকা করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র খন্দকার শাহজাহান সুমন এবং তার আপন ভাই মীরজাহান মিলে পরিচালনা করে আসছেন এই কোচিং সেন্টারটি। এদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও বাড়ছে নবীগঞ্জ উপজেলায়। মৃত্যুবরন ও করেছেন একজন। সরকারের সকল ধরনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাইভেট কোচিং সেন্টার চালু থাকায় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। চিকিৎসকরা মনে করছেন এভাবে কোচিং সেন্টার চললে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে এসব শিক্ষার্থীদের। করোনার ঝুঁকি নিয়ে কোচিং সেন্টারে আসা শিক্ষার্থীদের অভিবাকদের নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। অভিবাকদের দায়িত্বে অবহেলা ও খামখেয়ালীপনা মনে করছেন সচেতনমহল। এব্যাপারে শিক্ষক খন্দকার শাহজাহান সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে প্রাইভেট কোচিং পড়ানো হচ্ছে বলে জানান। এছাড়া ও এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রাইভেট কোচিং সেন্টার চলছে বলে ও দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, কোনো পত্রিকায় এই সংবাদটি প্রকাশ করা হলে সাংবাদিকদের দেখে নেবেন। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে বলেন সংবাদ প্রকাশে তার কিছুই হবে না। এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাদেক হোসেন বলেন, কোচিং সেন্টারের বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর এই করোনা পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই কোচিং সেন্টার চালু রাখার নিয়ম নেই। যারা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রেরক।
Leave a Reply