হাসান আহমদ, ছাতক প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জ জেলার প্রবেশদ্বার ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে নির্মাণাধিন গোল চত্ত্বরকে মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর নামকরনের দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন উপজেলার সর্বস্থরের মুক্তিযোদ্ধারা। রোববার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের এক সভায় নির্মাণাধিন গোল চত্ত্বরকে মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর নামকরনের দাবী উপস্থাপন করেন তারা।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আনোয়ার রহমান তোতা মিয়া বলেন, বর্তমান জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ সুনামগঞ্জে যোগদানের কিছুদিন পরই গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক চত্ত্বরকে মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর নামকরনের দাবী তোলা হয়েছিল। এটি অত্র অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবী। সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলার সর্বস্থরের মুক্তিযোদ্ধাদের দাবীও জেলার প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জে নির্মাণাধিন গোল চত্ত্বরকে মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর নামকরন করা হোক। মুক্তিযোদ্ধাদের এ দাবীতে বাস্তবে রূপ দিতে সংশ্লিষ্টদের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর কমান্ডার অজয় ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, হাজী নিজাম উদ্দিন বুলি, আলকাছ আলী, কুতুব উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, ফজল উদ্দিন, এমতাজ মিয়া, লাল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, তালেব আলী, ফকির খাঁ, আব্দুল কাদির, আরজদ আলী, আকরাম আলী, আজাদ মিয়া, আব্দুর রহিম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ছাতক তথা সুনামগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধের গৌরাবজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার ১০দিন আগেই অর্থাৎ ৬ডিসেম্বর শুত্রুমুক্ত হয় ছাতক উপজেলা। এ বিজয়কে স্মরনীয় করে রাখতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে প্রতিবছর বিজয় মিছিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হয়ে থাকে। এ অঞ্চলেই রয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫নং সাব-সেক্টর। বৃহত্তর ছাতক মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক অঞ্চল হিসেবে খ্যাত। স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত সীমান্ত অঞ্চল মেঘালয়ের পাদদেশ বাঁশতলা-হকনগরকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলা হয়েছে। এ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মুহিবুর রহমান মানিক এমপি হকনগরকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছেন। স্বাধীনতার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে আরো স্মৃতিময় করে রাখার জন্য গোবিন্দগঞ্জে নির্মাণাধিন গোল চত্ত্বরকে মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর নামকরন করা এখন সময়ের দাবী।
Leave a Reply