দেশবাংলা ডেস্ক:: কোভিড-১৯ টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির অ’ভিযোগে গ্রে’ফতার বহুল আ’লোচিত জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর আরেক প্রতারণা ধ’রা পড়েছে। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন। দুটিতে স্বামীর নাম দু’রকম। একটি এনআইডির চেয়ে অন্যটিতে বয়স কম দেখানো হয়েছে। বর্তমান তার দুটি এনআইডিই সক্রিয়।
দু’র্নীতি দমন কমিশন আগে বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য দিয়েছে। ইসি এখন বিষয়টি নিয়ে ত’দন্ত করছে। ইসির একজন কর্মক’র্তা বুধবার (২৬ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইন অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য বা ঘোষণা দিয়ে ভোটার হলে ৬ মাস কারাদ’ণ্ড, অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদ’ণ্ড বা উভ’য় দ’ণ্ডের বিধান আছে।
জানা গেছে, ডা. সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। একটিতে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নাম দিয়ে। জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। দুটি আইডিতে বয়সের ফারাক পাঁচ বছর।
একটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর. এইচ. হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কি’শোয়ার জেসমীন অ’পরটিতে মা-বাবার নাম পরিবর্তন করে সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও জেসমিন হুসেন দিয়েছেন।
দুই এনআইডিতে দুই ঠিকানাও ব্যবহার করেছেন তিনি। একটিতে মোহাম্ম’দপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমা’র্কের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
এর আগে করো’না কা’ণ্ডে গ্রে’ফতার রিজেন্ট হাসপাতা’লের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের এনআইডি স্থগিত করেছে ইসি। তিনি নিজের নাম সংশোধন করে ‘সাহেদ করিম’ থেকে হন ‘মোহাম্ম’দ সাহেদ’। মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ কাজ করেন তিনি। বর্তমানে এর ত’দন্ত চলছে।
ভু’য়া করো’নার রিপোর্ট দেওয়ার অ’ভিযোগে গত ৫ আগস্ট জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বি’রুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আ’দালতে অ’ভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পু’লিশ (ডিএমপি)। আর ২০ আগস্ট সাবরিনা ও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠন করেন আ’দালত।
অ’ভিযোগপত্রে বলা হয়, করো’না জালিয়াতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন জেকেজির সাবরিনা ও তাঁর স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মক’র্তা আরিফুল হক চৌধুরী। এ দুজন ছাড়াও মা’মলার অন্য ছয় অ’ভিযোগপত্রভুক্ত আ’সামি হলেন জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মক’র্তা হু’মায়ুন কবির, তাঁর স্ত্রী’ তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইস’লাম ও জেবুন্নেসা। মা’মলা থেকে মামুনুর রশীদ নামের আ’সামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মা’মলা করার ৪২ দিনের মা’থায় অ’ভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
করো’নার নমুনা সংগ্রহ ও ভু’য়া রিপোর্ট দেওয়ার অ’ভিযোগে গত ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্মচারী হু’মায়ুন কবির ও তার স্ত্রী’ তানজিনা পাটোয়ারীকে গ্রে’ফতার করে তেজগাঁও থা’নার পু’লিশ। পরের দিন ২৪ জুন হু’মায়ুন কবির ও তানজিনা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আ’দালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দেন। জবানব’ন্দিতে হু’মায়ুন কবীর জেকেজি হেলথ কেয়ারে চাকরি করার সময় কী’ভাবে করো’নার নমুনা সংগ্রহ এবং ভু’য়া রিপোর্ট তৈরি করেছেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন। হু’মায়ুন কবির জবানব’ন্দিতে বলেন, করো’নার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করে ড্রেনে ফেলে দিতেন। এ ছাড়া শফিকুল ইস’লামও আ’দালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দিয়েছেন।
Leave a Reply