স্টাফ রিপোর্টার :: আজ ১ সেপ্টেম্বর রানীগঞ্জ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিখ্যাত ব্যবসাকেন্দ্র রানীগঞ্জে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বর্বরোচিত হত্যাকান্ড চালিয়েছিল। সেদিন প্রায় শতাধিক বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পাক বাহিনী রানীগঞ্জ বাজারে এসে শান্তি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়। বাজারের ব্যবসায়ীরা এ প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলে পাকবাহিনী ব্যবসায়ীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর শুরু হয় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রায় শতাধিক নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর অনেকের লাশ কুশিয়ারা নদীতে ফেলে দেয় বর্বর পাক বাহিনী। নিহতদের মধ্যে ৪২ জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অনেকের পরিচয় মিলেনি। হত্যাযজ্ঞের পর পেট্রোল ঢেলে বাজারের সকল দোকানপাট আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এদিকে দিবসটি নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে আঞ্চলিক শোক দিবস হিসাবে প্রতি বছর পালন করা হয়। এবছর করুনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বল্প পরিসরে, মঙ্গলবার বাদ জোহর রানীগঞ্জ জামে মসজিদে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল এবং বিকাল ৩টায় রানীগঞ্জ শহীদ আকলু মিয়া মার্কেটস্থ শহীদ গাজী পাঠাগারে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য শহীদ গাজী ফাউন্ডেশনের মূখপাত্র আবুল কাশেম আকমল আহবান জানিয়েছেন।
Leave a Reply