ডেস্ক রির্পেোট::
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছা’ত্রীকে ধর্ষণ করা মা’মলায় আ’সামি মজনুর বি’রুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মা’মলার মূল ভিকটিম। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎকা ম’রুন্নাহারের আ’দালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। এরপর তাকে জেরা করেন মজনুর আইনজীবী রবিউল ইস’লাম। আ’দালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন। মজনুর আইনজীবী রবিউল ইস’লাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছা’ত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর একজন অ’জ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ধর্ষ ণের পাশাপাশি তাকে নি’র্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। ধর্ষ ণের একপর্যায়ে তিনি অ’জ্ঞান হয়ে পড়েন।
রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছা’ত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতা’লে যান। রাত ১২টার দিকে ওই ছা’ত্রীকে ঢামেক হাসপাতা’লের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা। পরের দিন সকালে অ’জ্ঞাত ব্যক্তিকে আ’সামি করে ছা’ত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থা’নায় মা’মলা করেন। মা’মলা’টি ত’দন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পু’লিশ (ডিবি উত্তর)।
এর আগে ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রে’ফতার করে রেব। গ্রে’ফতারের পর মজনুকে একজন ‘সিরিয়ালরে পিস্ট’ বলে উল্লেখ করেছিল র্যা’ব। তখন র্যা’বের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু নিজেই স্বীকার করেছে সে একজন সিরিয়ালরে পিস্ট।’
৯ জানুয়ারি সাত দিনের রি’মান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পু’লিশকে অনুমতি দেন আ’দালত। ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানব’ন্দি দেন মজনু।
১৬ মা’র্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আ’দালতে মজনুর বি’রুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মক’র্তা ডিবি পু’লিশের পরিদর্শক আবু বক্কর।
২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎকা ম’রুন্নাহার ভা’র্চুয়াল আ’দালতে মজনুর বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠন করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
দেশ.বা.জি.
Leave a Reply