ডেস্ক রিপোর্ট:
ঐতিহ্যবাহী কানাইঘাট দারুল উলূম দারুল হাদিস মাদ্রাসার খ্যতিমান মুহাদ্দিছ ও খলিফায়ে বদরপুরী (র.) আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী (র.) এর মাজার থেকে অলৌকিক সুগন্ধি ছড়াচ্ছে বলে দাবী করছেন তাঁর অনুসারী ও সর্বস্থরের মানুষ।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ভীড় করতে শুরু করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। অনেকেই দূর দুরান্ত থেকেও ছুটে আসছেন অনেকেই।
জানা যায়, কানাইঘাট পৌরসভায় অবস্থিত দারুল উলুম কানাইঘাট মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (র.) মাযার রয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি ইহদাম ত্যাগ করেন। সেই হিসেবে তার মৃত্যুর ৫০ বছর পেরিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আরও তিন বার তার কবর থেকে সুগন্ধি ঘ্রাণ বেরিয়েছে। এটি অলৌকিক ঘটনা বলেও মনে করেন এলাকার জনসাধারণ।
মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী হারুনুর রশীদ চতুলী বলেন, ‘আজ মাগরিবের নামাজের পর ছাত্ররা মাযার জিয়ারতে গেলে সুগন্ধ অনুভব করেন। পরে তারা আমাদের খবর দিলে আমরাও তার বাস্তব প্রমাণ পাই। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো এ বিশ্ব বরেণ্য আলেমের মাযার থেকে সুগন্ধ বের হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মৃত্যুর দিন দাফনের পর একবার, দাফনের তিনমাস পর একবার এবং ২০১২ সালে একবার কবর থেকে সুগন্ধ বের হয়।
উল্লেখ্য যে, আল্লামা মুশাহিদ বায়ামপুরী (র.) উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলিয়ে কামিল হযরত শাহ ইয়াকুব বদরপুরী (র.) এর অন্যতম খলিফা ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একজন খ্যাতিমান আলেম, রাজনীতিক, সমাজ সংস্কারক ও লেখক ছিলেন। হাদিস বিশারদ হিসেবে উপমহাদেশে ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে তাঁর।
সিলেটের কানাইঘাট দারুল উলূম মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস ছিলেন। তিনি সিলেট সরকারি আলিয়াসহ ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি১৯৬২ সালে পাকিস্তানের মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি (এমএনএ) নির্বাচিত হন। আরবি, বাংলা ও উর্দু ভাষায় তার মূল্যবান বেশ কিছু গ্রন্থ রয়েছে। দারুল উলূম দেওবন্দে রেকর্ডসংখ্যক নাম্বার পেয়ে তিনি কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন। এমনকি তিনি মক্কায় হজ্জ পালনের সময় ইমামের ভুল ধরে বিশ্বখ্যাতি অর্জন করে সারা বিশ্বে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।
দেশ.বা. জি.
Leave a Reply