ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতক সিমেন্ট কারখানায় নির্মানাধীণ নতুন ড্রাই প্রসেস সিমেন্ট প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি, সাবেক হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ এমপি ও জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার মুহিবুর রহমান মানিক এমপি’র নেতৃত্বে একটি পরিদর্শন টিম। বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার নতুন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে কারখানা গেষ্ট হাউসে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিং করেন তারা। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ এমপি বলেন, বর্তমান শিল্প বান্ধব সরকার দেশে নতুন-নতুন শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিদেশেী বিনিয়োগকারী সংস্থাদের শিল্প-কারখানা গড়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করছে। ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মৃত প্রায় ছাতক সিমেন্ট কারখানাকে অত্যাধুনিকভাবে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সাশ্রয়ী ও লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারী অর্থায়নে এখানে ড্রাই প্রসেস সিমেন্ট কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। নির্মানাধীন ওই সিমেন্ট কারখানাটি দৈনিক ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ক্লিাংকার ও ৫০০ মেট্রিকটন সিমেন্ট উৎপাদনে সক্ষম হবে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নতুন প্রকল্পে উৎপাদন শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ব্রিফিং কালে মুহিবুর রহমান মানিক এমপি বলেন, বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় রাষ্ট্রয়াত্ব শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাতকস্থ সিলেট পাল্প এন্ড পেপার মিল পানির দামে প্রাইভেট খাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। একই সময়ে ঐতিহ্যবাহী ও দেশের প্রাচীনতম ছাতক সিমেন্ট কারখানাটিও বিক্রির চেষ্টা চলছিল। এখানের সচেতন মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এ কারখানাটি বিক্রির হাত থেকে রক্ষা করা হয়। বর্তমান শিল্প বান্ধব সরকার ভুর্তুকী দিয়ে একাধিকবার বিএমআরই’র মাধ্যমে এ কারখানাটিকে সচল রেখেছে। সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনার পর বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিল্প মন্ত্রনালয়ের নজরে আসলে ওয়েট প্রসেস থেকে কারখানাটিকে ড্রাই প্রসেস প্রকল্পে রূপান্তর করতে ২০১৬ সালে ৮মার্চ একনেকে অনুমদিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন ড্রাই প্রসেস প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮৯২ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয় সরকার। চীনের একটি বিখ্যাত কারিগরী প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। নতুন এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নতুন-নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে। কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি এখানের মানুষ ব্যবসায়ীকভাবেও লাভবান হবে। পরিদর্শন টিমের সাথে শিল্প মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি, বিসিআইসির যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, বিসিআইসির যুগ্ম সচিব আমিন উল আহসান, এফসিএমএ লুৎফুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ও কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম আব্দুল বারী, প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রহমান ও সিনিয়র কমিটি অফিসার ফারহানা বেগম। এসময় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সুহেল মাহমুদ, ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির, কারখানার জিএম প্রশাসন গোলাম রব্বানী, সহ ব্যবস্থাপক নির্ঝর দাস, সহকারী প্রকৌশলী রইছ উদ্দিন, কেমিষ্ট পংকজ কান্তি দত্ত, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ(ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান, কারখানার সহকারী প্রধান হিসাব রক্ষক আতিকুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা মোশাহিদ আলী, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি এম রশীদ আহমদ, কারখানার সিবিএ সভাপতি খছরুল হক চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আব্দুল কদ্দুছ, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি বাবুল রায়; ছাতক উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলমসহ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সংক্রান্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply