শাহজানপুর সংবাদদাতা::
এনজিওর কিস্তি আদায়ের চাপ সহ্য করতে না পেরে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি বেলাল হোসেন (২৮) ইলেকট্রিক শান মেশিন দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যা করেন। মিস্ত্রির স্ত্রী হাসিনা খাতুন ১৫ দিন পর বৃহস্পতিবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এনজিওর ১১ কর্মচারী –কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক খালিদ মাহমুদ মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে আগামী বছরের ১০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
এামলায় আসামীরা হলেন “সাজেদা ফাউন্ডেশন” মাঝিড়া শাখার ম্যানেজার মনিরুজ্জামান ও মাঠকর্মী মাজেদুল ইসলাম, “রিয়েল সেভিংস অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড” দুবলাগাড়ী শাখার ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন ও মাঠকর্মী জেসমিন আকতার, “সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস” নয়মাইল শাখার ম্যানেজার আমিরুল হাসান ও মাঠকর্মী মুঞ্জুরুল ইসলাম, “বাংলাদেশ অ্যাক্রটেনশন এডুকেশন সার্ভিসেস” মাঝিড়া শাখার ম্যানেজার সাইদুর রহমান ও মাঠকর্মী লাকী খাতুন,” সোসিও ইকোনোমিক ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন” মাঝিড়া শাখার ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন এবং “”টিএমএসএস”” মাঝিড়া শাখার ম্যানেজার আবদুল মান্নান ও মাঠকর্মী নাহারকে আসামি করা হয়।
বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট রাশেদুর রহমান মরিস জানান, বেলাল হোসেন শাজাহানপুর উপজেলার চোপিনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমানের ছেলে। উপজেলার খোর্দ বৃ-কুষ্টিয়া এলাকায় তার ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ রয়েছে। তিনি উল্লিখিত ছয়টি এনজিও থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়ে এ কারখানা করেন। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে অন্যদের মতো বেলালের ব্যবসাও মন্দা হয়। সরকার ১ অক্টোবর পর্যন্ত কিস্তি আদায় না করতে এনজিওগুলোকে নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনও প্রচারণা চালায়।
তারা জানান, এরপরও এনজিওগুলোর কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা ঋণ গ্রহীতাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে কিস্তি আদায় অব্যাহত রাখেন। মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলে আসা কিস্তি আদায়কারীদের দেখে অনেক ঋণগ্রহীতা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। কিস্তি দিতে না পারায় এনজিওকর্মীরা নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। প্রতিদিনই তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ব্যবসা মন্দা হওয়ায় বেলাল হোসেন তার কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এনজিওগুলোর লোকজন তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর কিস্তি পরিশোধের দিন ছিল। তিনি গ্রামের বিভিন্নজনের কাছে ধরনা দিয়েও কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতে পারেননি। বেলাল হোসেন দুপুরে চোপিনগর দক্ষিণপাড়ার বাড়িতে প্রথমে বিষপান করেন। এরপর রড কাটার ইলেকট্রিক শান মেশিন দিয়ে গলায় আঘাত করেন। এতে তার গলা কেটে যায়। স্বজনরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মারা যান।
শাজাহানপুরে এনজিওর কিস্তির চাপে যুবকের আত্মহত্যা, ১১কর্মচারী-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
শাহজানপুর সংবাদদাতা- এনজিওর কিস্তি আদায়ের চাপ সহ্য করতে না পেরে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি বেলাল হোসেন (২৮) ইলেকট্রিক শান মেশিন দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যা করেন। মিস্ত্রির স্ত্রী হাসিনা খাতুন ১৫ দিন পর বৃহস্পতিবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এনজিওর ১১ কর্মচারী –কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক খালিদ মাহমুদ মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে আগামী বছরের ১০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
এামলায় আসামীরা হলেন “সাজেদা ফাউন্ডেশন” মাঝিড়া শাখার ম্যানেজার মনিরুজ্জামান ও মাঠকর্মী মাজেদুল ইসলাম, “রিয়েল সেভিংস অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড” দুবলাগাড়ী শাখার ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন ও মাঠকর্মী জেসমিন আকতার, “সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস” নয়মাইল শাখার ম্যানেজার আমিরুল হাসান ও মাঠকর্মী মুঞ্জুরুল ইসলাম, “বাংলাদেশ অ্যাক্রটেনশন এডুকেশন সার্ভিসেস” মাঝিড়া শাখার ম্যানেজার সাইদুর রহমান ও মাঠকর্মী লাকী খাতুন,” সোসিও ইকোনোমিক ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন” মাঝিড়া শাখার ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন এবং “”টিএমএসএস”” মাঝিড়া শাখার ম্যানেজার আবদুল মান্নান ও মাঠকর্মী নাহারকে আসামি করা হয়।
বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট রাশেদুর রহমান মরিস জানান, বেলাল হোসেন শাজাহানপুর উপজেলার চোপিনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমানের ছেলে। উপজেলার খোর্দ বৃ-কুষ্টিয়া এলাকায় তার ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ রয়েছে। তিনি উল্লিখিত ছয়টি এনজিও থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়ে এ কারখানা করেন। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে অন্যদের মতো বেলালের ব্যবসাও মন্দা হয়। সরকার ১ অক্টোবর পর্যন্ত কিস্তি আদায় না করতে এনজিওগুলোকে নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনও প্রচারণা চালায়।
তারা জানান, এরপরও এনজিওগুলোর কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা ঋণ গ্রহীতাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে কিস্তি আদায় অব্যাহত রাখেন। মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলে আসা কিস্তি আদায়কারীদের দেখে অনেক ঋণগ্রহীতা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। কিস্তি দিতে না পারায় এনজিওকর্মীরা নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। প্রতিদিনই তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ব্যবসা মন্দা হওয়ায় বেলাল হোসেন তার কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এনজিওগুলোর লোকজন তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর কিস্তি পরিশোধের দিন ছিল। তিনি গ্রামের বিভিন্নজনের কাছে ধরনা দিয়েও কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতে পারেননি। বেলাল হোসেন দুপুরে চোপিনগর দক্ষিণপাড়ার বাড়িতে প্রথমে বিষপান করেন। এরপর রড কাটার ইলেকট্রিক শান মেশিন দিয়ে গলায় আঘাত করেন। এতে তার গলা কেটে যায়। স্বজনরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মারা যান।
Leave a Reply