বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তরুণীকে জোর পূর্বক আটকে রেখে ধর্ষণ ও পরে আবার মেয়েকে খুঁজতে এসে না পেয়ে মেয়ের বাবা কেস ধরে নিয়ে মারধরের ঘটনায় আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে বিজ্ঞ আদালত।
আজ রোববার (১১ অক্টোবর) সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শুভদীপ পালের আদালত আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মুসলেহ উদ্দিন জানান, আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত প্রধান আসামি শামীম কে ১০ দিনের মধ্যে সাত দিনের রিমান্ড ও অপর ৫ আসামি লিটন মিয়া (৩০), আকাই মিয়া (২৭), আলম মিয়া (২৮) ও দিলাক মিয়া (২৫) ও কাজল মিয়া (৪৫) কে সাত দিনের মধ্যে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রসঙ্গত
সাত বছর আগে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর দাম্পত্য বিরোধ দেখা দিলে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বাবার বাড়িতে চলে যান। এরপর থেকে গোতগাঁও গ্রামের আঙ্গুর মিয়ার বখাটে ছেলে শামীম মিয়া ওই তরুণীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। শামীম তার শিশু সন্তান কে হত্যা করার ভয় ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক তাঁকে বাড়ি থেকে অপহরন করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
শামীমের হাত থেকে বাঁচতে মেয়েটি নবীগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে চলে যান। সোমবার রাত ১২টার দিকে বখাটে শামীম তাঁর লোকজনকে নিয়ে মেয়েটির বাবার বাড়িতে যান। মেয়েকে না পেয়ে বৃদ্ধ বাবাকে তার বাড়িতে তুলে নিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতে রাতেই অভিযানে নেমে চারজন কে আটক করে এবং বুধবার এঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরো একজনকে আটক করে। এঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তরুণী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ও সুনামগঞ্জের ডিবি পুলিশের অভিযানে ব্রাক্ষনবাড়িয়ার সরাইল থেকে প্রধান আসামি শামীম কে গ্রেফতার করা হয়। রোববার সকল আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
Leave a Reply