একরাম হাসান::
বর্তমানে দেশের মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদ শূন্য ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫১টি। এরমধ্যে প্রথম শ্রেণিতে (৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব) শূন্য ৫৫ হাজার ৩৮৯টি, দ্বিতীয় শ্রেণিতে (১০ম গ্রেড) শূন্য ৪৯ হাজার ১৪২টি, তৃতীয় শ্রেণিতে (১১ থেকে ১৬তম গ্রেড) শূন্য ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৯টি ও চতুর্থ শ্রেণিতে (শূন্য ১৭ থেকে ২০তম গ্রেড) ৮৭ হাজার ১৪১টি পদ শূন্য রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ঢাকা-২০ আসনে সরকারি দলের সংসদ বেনজীর আহমেদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান।
অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারী অফিসে শূন্যপদে লোক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে ২২০৪ জন কর্মকর্তার নিয়োগ কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ চলমান। ৩৯তম বিসিএসের মাধ্যমে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ও রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনে নবসৃষ্ট সহকারী সার্জনের স্থায়ী ক্যাডার পদে ২ হাজার জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৪০তম বিসিএসের মাধ্যমে ১৯০৩ জন জনবল নিয়োগ করা হবে। যার লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ৪১তম বিসিএসের মাধ্যমে ২১৬৬ জন জনবল নিয়োগ করা হবে।
এছাড়াও ৪২তম (বিশেষ) বিসিএসের মাধ্যমে ২০০০ জন চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। সরকারী অফিসে শূন্যপদে জনবল নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া।
বিভিন্ন বিভাগ এবং এর অধীন সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে ১০-১২ গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) শূন্যপদে জনবল নিয়োগ করা হয়। ভ ১৩-২০ গ্রেডের (পূর্বতন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি) পদে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/বিভিাগ/দপ্তর/সংস্থার নিয়োগবিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা জনবল নিয়োগ করে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ থেকে ধারাবাহিকভাবে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন পদ সৃজনে সম্মতি ও শূন্যপদে নিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে মন্ত্রণালয়/বিভাগ নিজ নিজ নিয়োগ বিধি অনুযায়ী উক্ত সৃজিত পদে জনবল নিয়োগের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেয়।
আদালতে মামলা থাকায় নিয়োগবিধি কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় এবং পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্যপদ পূরণ করা যায় না।
Leave a Reply