হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া ::
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কামরাখাই গ্রামের নুর মিয়ার প্রবাস ফেরত পুত্র সেজলু মিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিনে কামরাখাই গ্রামে গেলে জানাযায় সুফিয়া বেগমের স্বামী নুর মিয়া প্রায় ৩ যুগ ধরে লেবানন রয়েছেন। সুফিয়া বেগম এলাকার বিভিন্ন লোকজনকে লেবাননে নেয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে তাদেরকে বিদেশে না নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেজলু মিয়া বিদেশে থাকা অসস্থায় পরিবারের উন্নতির স্বার্থে প্রায় ৮লক্ষাধিক টাকা দেশে তার ভাই বাবলু মিয়া ও মা সুফিয়া বেগমের নিকট পাঠালে সমুদ্বয় টাকাগুলো তারা আত্মসাত করেন। সেজলু মিয়া বিদেশ থেকে মোবাইলে টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে মা ও ভাই এর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সেজলু মিয়া বাংলাদেশে এসে তার পাঠানো টাকা ফেরত পেতে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা সুফিয়া বেগম সেজলু মিয়াকে আসামী করে ২৭ অক্টোবর সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২৯/২০২০ইং। মামলার বিষয়ে ১নং স্বাক্ষী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহমুদ মিয়া জানান, মামলায় উল্লেখিত ঘটনার দিন সুফিয়া বেগম বাড়িতে ছিলেন না। তিনি প্রায় বছর খানেক ধরে নবীগঞ্জে ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন। সেজলু মিয়া আমার দায়িত্বে থাকা তার পিতার ঘরে বসবাস করতে চাইলে আমি তাকে তার পিতার অনুমতি নিয়ে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলি। এরই মধ্যে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। এলাকার প্রবীণ মুরব্বী সাবেক ইউপি সদস্য কামরাখাই জয়নগর দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি হাজি আব্দুল লতিফ জানান, সুফিয়া বেগম সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে গন্যমান্য ব্যক্তিদের কথা অমান্য করে আদালতে সেজলুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। সুফিয়া বেগম বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে এলাকার সহজ সরল মাুনষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাছাড়া সেজলু মিয়া বিদেশ থেকে পাঠানো টাকাগুলো কোন হিসেব দিতে পারে নাই। মূলত সেজলুর এ টাকাগুলো আত্মসাত করতে তার ভাই বাবলু মিয়া মা সুফিয়া বেগমকে দিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার স্বাক্ষী পরাশ মিয়া ও মদরিছ মিয়া জানান, ঘটনা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা। বাদীনি দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে বসবাস করেননা। সেজলু মিয়া জানান, আমি লেবানন থাকা অবস্থায় পরিবারের বরন পোষনের টাকা ছাড়াও বিভিন্ন মানি এক্্রচেইঞ্জ এর মাধ্যমে আমার ভাই বাবলু মিয়ার নামে ৮লক্ষ ৩৬হাজার ৬শ ৫৩ টাকা প্রেরন করি। টেলিফোনে উক্ত টাকা হিসেব চাইলে কোন হিসেব না দেওয়ায় আমার স্ত্রী ডলি বেগমকে লেবানন থেকে দেশে পাঠাই। আমার স্ত্রী দেশে এসে টাকার হিসেব চাইলে তাকে বাবলু মিয়া গালিগালাজ করে। পরবর্তীতে আমি দেশে এসে এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের নিকট বিচার প্রার্থী হই। এবং আমার পিতার ঘরে বসবাস করতে চাইলে মাহমুদ মিয়া আমাকে বাধা প্রদান করেন। নিরুপায় হয়ে জুফরী ঘর তৈরী করে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছি। পরবর্তীতে কোন উপায় না পেয়ে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা উদ্ধারে বাবুল মিয়া ও মাহমুদ মিয়াকে আসামী করে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা নং ১০৭/২০২০ইং। আমার দায়েরকৃত মামলা থেকে আমার ভাইকে বাঁচাতে আমার মা বাদী হয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিলষ্ট উর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষের নিকট সুস্থ তদন্তের দাবী জানাই।
Leave a Reply