রিয়াজ রহমান জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কৃতিসন্তান ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল (১৫ জানুয়ারী ) শুক্রবার। আব্দুস সামাদ আজাদ ১৯২২ সালের ১৫ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ভুরাখালি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৪০ সালে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র থাকাবস্থায় সুনামগঞ্জ মহকুমা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে রাজনীতিতে পদাপর্ণ করেন তিনি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও আসাম অঞ্চলের বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রনায়ক ছিলেন সামাদ আজাদ এ কারণে ইংরেজ শাসক কর্তৃক কয়েকবার গ্রেফতারও হন তিনি। হাওর বেষ্টিত গ্রামে বেড়ে উঠা আব্দুস সামাদ আজাদ ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার কারনে করতে হয়েছে কারাবরণ। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে সামনের কাতারে চলে আসেন আব্দুস সামাদ আজাদ। ৬৬’র ছয় দফা ৬৯’র গণ অভুথ্যানসহ সকল আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর গনিষ্টসহচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই নেতা।১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠায় রয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্র্নঅবদান। সামাদ আজাদ স্বাধীণ বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়নে সুনামগঞ্জ ২ ও ৩ আসনে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ সালে সুনামগঞ্জ ৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে বিরোধী দলীয় উপ নেতার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে আবারও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আব্দুস সামাদ আজাদ অত্যান্ত দক্ষতার সাথে বহির্বিশ্বের সাথে সৌহ্যার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেন। ২০০১ সালের তিনির জীবনের শেষ নির্বাচনে দল হারলেও সামাদ আজাদ সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিজয়ী হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য থাকা অবস্থায় ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল মৃত্যুবরন করেন।
Leave a Reply