মুহিবুর রেজা টুনু সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার করালজান গ্রুপ জলমহালটি বহিরাগত প্রভাবশালী মহাজনদের হাত থেকে রক্ষা করে ইজারাপ্রাপ্ত সমিতির সদস্যদের মৎস্য আহরণের
দাবী জানিয়েছে মৎসজীবিরা। এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা সমবায় অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তারা।গত ২জানুয়ারী২০২১ইং তারিখে ২০জন মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হরিপুর মৎস্য সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সাধারণ সম্পাদক ধীজেন্দ্র রায়। এছাড়াও মৎসজীবিরা সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের দাবী উত্তাপন করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় দরকাস্থকারী মৎস্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক, জামালগঞ্জ উপজেলার করালজান গ্রæপ জলমহালটি দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনায় ভূমি মন্ত্রনালয় হইতে ১৪২৫-১৪৩০বাংলা সনের জন্য ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে সরকারের জলমহাল নীতিমালা অনুযায়ী বিগত ০৩(তিন)বৎসর যাবৎ সমিতির প্রত্যেক জন সদস্য পুজিঁ বিনোয়োগ করে আরোচ্য জলমহালটিতে মৎস্য সংরক্ষণ করিয়া আসছিলেন। নীতিমালা অনুযায়ী অত্র বছরে ১৪২৭বাংলা জলমহালটিতে মৎস্য আহরণের কথা রয়েছে।
কিন্তু সমিতির সভাপতি প্রভরি রায় ও তার আপন ভাই সমিতির সহ সভাপতি প্রভাকর রায় মৎস্য আহরণের মৌসুমে শুরুতেই এলাকার কিছু প্রভাবশালী মহাজন ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ডাকাত শ্রেণীর লোকজনকে নিয়ে আরোচ্য জলমহালটিটিতে মৎস্য আহরণ করে লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। সমিতির নিরিহ প্রকৃতির কোন সদস্য জলমহালটিতে দীর্ঘ গত ৩ বছর দার,দেনা করে বিনোয়গ,শ্রমগামের মাধ্যমে মৎস্য সংরক্ষণ করার পরেও অভিযুক্ত প্রভাকর রায় ও প্রভীর রায় জোর পূর্বক সদস্যদেরকে জলমহাল থেকে বিতারিত করে। এবং অন্যান্য সদস্যদের ন্যায্য পাওনা ও মৎস্য আহরণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন।
অসহায় মৎস্য সমিতির সদস্যরা তাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য এবং অভিযুক্ত প্রভাকর রায় ও তার সহোদর প্রভীর রায়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে মৎস্য জীবীদের সু বিচারের জন্য উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটাই দাবী জানান বঞ্চিত মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য বৃন্দ।
Leave a Reply