মুহিবুর রেজা টুনু,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্তরে এর আশপাশে সুনামগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জ-সিলেট সহাসড়ক যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি ও জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎজোতি পাবলিক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সুনামগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের গোবিন্দগঞ্জ বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্ত¡রের লাগোয়া মৌজার ৬২ নং দাগে সরকারী খাল । সড়কের লাগোয়া সেই খালটিতে অবৈধ স্থাপনা। সরকার এবং মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্ত হচ্ছে দশ মিটারের মধ্যে ¯েøাপ থেকে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। কিন্তু গত তিনদিন ধরে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জের সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কে উচ্ছেদ অভিযানের কাযৃক্রম চলমান থাকলেও এখানে ধনী ও বিত্তশালীরা যারা অবৈধভাবে সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছেন তাদের অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়না। বরং যারা আছেন ছাউনী দিয়ে মাছ ও সবজি বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন তাদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কিন্তু সড়কের পাশে ৬২ নং ও ১নং দাগ,৩৬নং দাগ একটি হলো খাল একটি হলো রাস্তার পাশ এগুলো উচ্ছেদ করা হয়না। বাংলাদেশের ১৫৪৬ নম্বর রিট মোকদ্দমায় সুস্পষ্ট বলা আছে ১০ মিঠারের মধ্যে কোন ধরনের অবৈধ স্থাপনা থাকবে না তা উচ্ছেদ করার বিধান থাকলেও এই বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে একটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু গোবিন্দগঞ্জ বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্তর লাগোয়া যে জায়গাটুকু অবৈধভাবে দখলে আছে খাল দখলের কারণে ময়লা বাগার হয়েছে। খালটি অচল হয়েছে এই লাগোয়া এলাকার ১৬২ শতক জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়েছে এটা একোয়ার ল্যান্ড। এই জায়গাটুকু সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নামে ২নং খতিয়ানে জায়গাটুকু অর্ন্তভূক্ত আছে। তাদের দাবী যেভাবে গরীবদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে সেভাবে বিত্তবান যারা অবৈধভাবে দখল করে আছেন তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। আশপাশে সওজের অন্তত শত কোটি টাকার জমিতে অনেক স্থায়ী স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্থাপনা নির্মাণকারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিচ্ছে সওজের লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে এসব স্থাপনা উচ্ছেদে সওজ কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বার বার ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের নামে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। প্রকৃত স্থাপনা উচ্ছেদে সওজ কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। এতে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে যানজট লেগেই থাকছে। সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ ও সরকারি আদেশ প্রতিপালন না করায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুনামগঞ্জ-সিলেট সহাসড়ক যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহŸায়ক ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, জেলা সিএনজি চালিক অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. জমসেদ আলী।
Leave a Reply