মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর থেকে::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নিত্যপণ্য বিক্রি করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সয়াবিন তৈল, বিদেশি পেঁয়াজ, খেজুর-ছোলা, চিনি, মসুরের ডাল সহ ছয়টি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ডিলার টিসিবির পণ্য প্যাকেজ আকারে বিক্রি করায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন সাধারন ক্রেতারা।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রমজানে চিনি, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, খেজুর, ছোলা ও পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। মেসার্স পলাশ ট্রেডার্স টিসিবির পণ্য প্যাকেজ আকারে বিক্রি করছেন। ডিলার ধনেশ রায় জানান, ৫৪৫ টাকা প্যাকেজে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছি। এতে এক কেজি করে চিনি, ৪ লিটার সয়াবিন তেল, ও এক কেজি খেজুর পেঁয়াজ রয়েছে। টিসিবি অফিস থেকে এভাবে বিক্রি করতে বলেছে বলে জানান তিনি।
মামুন নামের এক ক্রেতা বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্যাকেজ আকারে বিক্রয় করে ডিলারের ইচ্ছা অনুসারে প্যাকেজ তৈরী করে থাকে অনেকের তেল, চিনি ও ডাল প্রয়োজন। কিন্তু বাধ্য হয়ে বিদেশি বড় সাইজের পচা পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে আমাদের। নিজেদের ব্যবসায়িক সুবিধায় ডিলাররা এভাবে ইচ্ছেমতো পণ্য বিক্রি করছেন। আর এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা।
রাহিমা নামের আরেক নারী ক্রেতা জানান, আমরা গরীব মানুষ। স্বামী দিনমুজুর। আমার পক্ষে প্যাকেজে ৫৪৫ থেকে ৬০০ টাকার পণ্য কেনা সম্ভব নয়। আমি তেল ও চিনি কিনতে চাই কিন্তু তারা আমাকে এভাবে পণ্য দিতে চাননি। তাই আমি খালি হাতে ফিরে যাচ্ছি।
টিসিবির পণ্য কিনতে আসা প্রতিটি ক্রেতারই একই অভিযোগ। এ কারণে টিসিবির পণ্য কিনতে ট্রাকের সামনে ভিড় থাকলেও কিনছেন না কেউ। টিসিবির ডিলার মেসার্স পলাশ ট্রেডার্সের মালিক ধণেশ রায় জানান, ক্রেতারা শুধু তেল নিতে চায় তাই ৪/৫ টি পন্য দিয়ে একটি প্যাকেজ তৈরী করা হয়।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মেহেদী হাসান বলেন, প্যাকেজ আকারে টিসিবির পণ্য বিক্রি করার নিয়ম নেই। এ বিষয়ে টিসিবি কৃর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মৌলভীবাজার টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের ফোনে যোগাযোগ করা হলে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কর্মকর্তা বলেন প্যাকেজে টিসিবি’র পন্য বিক্রি করার কোন নিয়ম নাই। তবে এই ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করতে পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply