মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধরপাশা দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসায় গ্রামের লোকজনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বদরুল আলম, আনিছ আলী, সুয়েব আলম, শামীম আহমদ।
আজ (০৪ মে) মঙ্গলবার শ্রীধরপাশা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের উদোগ্যে গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাদিক গরীব ও অসহায় মানুষসহ অত্র মাদরাসার শিক্ষক, ছাত্রদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীধরপাশা দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহ আলতাফুর রহমান, শ্রীধরপাশা দারুলউলুম মাদরাসার মোহতামিম হযরত মাওঃ শেখ সাজিদুর রহমান, নাজিমে তালিমাত হযরত মাওলানা সালা উদ্দিন আইয়ূবী, শ্রীধরপাশা বড়হাটি মসজিদের ইমাম ও খতিব অত্র মাদরাসার শিক্ষক হযরত মাওলানা ফজল উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল হক, সহকারী শিক্ষক মাওলানা তোফায়েল আহমদ কামরান, শ্রীধরপাশা গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তি আবুল খয়ের, জুলফিকার আলী, আলহাজ আব্দুল হান্নান, ফয়সল মিয়া, হাজী আরশ আলী, ডাঃ হাবিবুর রহমান, আব্দুল তোয়াহিদ, আব্দুন নূর, প্রবীন মোরব্বী তিলাই উল্লা, আফিজ মিয়া, বশর মিয়া, আছকির মিয়া, আবু শমা, আবু লিজা, আজিজুর রহমান (সুবরাজ), আপ্তর মিয়া, মাওলানা আলমগীর খাঁন, আছাব আলী, ফরুখ মিয়া, বতর আলী, আব্দুল আজিদ, নেহার খাঁ, বশর খাঁন, ছামির খাঁন, সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুহিবুল হাসান (মুর্শেদ), তরুন সমাজ সেবক হাসান সাহরিয়ার এনাম, মোঃ রুকন উদ্দিন, খসরুল আবেদীন আকাশ, লায়েক আলম, সারোয়ার আলম (সাদ্দাম), মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা শামছুল ইসলাম, শিরু মিয়া, শিপন মিয়া, শাহান মিয়া, পাবেল মিয়া, রাসেল মিয়া, হাসন নূর, শেখ সুজন, মোহাম্মদগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুবেদ আলী, দুলাল মিয়া টেইলার্স, সালাতুর রহমান সালাম, শীর্ষ টিভি ও দৈনিক শীর্ষ সমাচার, ডেইলি তাজা খবর অনলাইন এবং দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক দেশ বাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার দোয়েল টিভির এডমিন মোঃ মুকিম উদ্দিন প্রমূখ।
এসময় প্রথমে কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন হাফেজ তাফাজ্জুল হক।
ইফতার মাহফিলের পূর্ব পর্যন্ত রোজার তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন শ্রীধরপাশা দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস হযরত ইমদাদ উল্লা,
তিনি বলেন আজ ২১ রোজা ১৪৪২ হিজরী। মাহে রমজানের শেষ দশ দিন নাজাতের যেমন রোজা পালনকারী ব্যক্তির মাতা-পিতাকে দোজখের আগুন থেকে নাজাত দেয়া হয়, তেমনই নাজাতের দশকে কোন রোজা পালনকারী ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে সেও দোজখ থেকে মুক্তি পায়। তেমনি ভাবে মাহে রমজানের রোজা এবং রোজার শেষে আল্লাহর নির্দেশনাবলী মেনে চলতে পারলে দুনিয়া ও আখেরাতের অনেক আজাব থেকেও নাজাত পাওয়া যায়। পবিত্র মাহে রমজান মানুষের জীবনকে সম্পূর্ণ ভাবে আত্মসংযমের অনুশীলন করতে রমজান উদ্যমী ভূমিকা পালন করে। রমজান মাস মানব জাতিকে সমস্ত পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। রমজানের প্রথমদিক থেকেই আমরা মহান আল্লাহর আদেশ ও নিষেধের সকল বাণীসমূহকে অনুসরন করে আত্মসংযমী হওয়ার চেষ্টা করি। পবিত্র কোরআনুল করিমে সূরায়ে হুযরাতে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন “ফাতাবাইয়ানু, অর্থাৎ বর্ণনা বা বয়ানের আদেশ, নিষেধসমূহকে মেনে চলা। এবং “ফাআছলিহু, অর্থাৎ মুসলমানদের মধ্যে ছুলেহ বা আপোষ মীমাংসা করা।
“ওয়া আকছিতু,অর্থাৎ ইনছাফ বা ন্যায়ভিত্তিক কাজ করা। লা ইয়াছখারু, অর্থাৎ একে অন্যকে নিয়ে মজাক, ঠাট্টা না করা। ওয়ালা তালমিজু,অর্থাৎ একে অন্যের প্রতি স্ক্যান্ডাল বা বদনাম অথবা দুর্নাম না করা। ওয়ালা তানাবারু বিল আলকাব। অর্থাৎ খারাপ উপাধিতে কাউকে ভূষিত না করা। লা ইয়াগতাব, অর্থাৎ একে অন্যর গীবত না করা। লা তাজাছ্ছাছু। অর্থাৎ কারো ঠোঁটের মাঝে না উঠা, যেমন, একজনকে খুশি করার জন্য অন্যজনকে মন্দ বলে ঠোঁটে না উঠা। ইযতানিবু কাছিরাম মিনায জান্নি। অর্থাৎ বদ, খারাপ সন্দেহ থেকে বেঁচে থাকা। পবিত্র রমজান মাসে পবিত্র কোরআনের উপর উল্লিখিত নির্দেশনা মেনে চলাই হবে উত্তম পন্থা। মহান আল্লাহ পাক আমাদিগকে উপরোল্লিখিত দোষত্রুটি থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন। আমীন। আমরা অনেকেই দোয়া করি কিন্তু কুরআন ও হাদিসে বর্নিত দোয়ার এসব শর্ত অনুসরন করিনা। আল্লাহর কাছে দোয়া কবুল করানোর জন্য রমজানের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিনয় বিশ্বাস ও আন্তরিকতার সঙ্গে নবীজির দেখানো পন্থায় দোয়া করলে নিশ্চয়ই আল্লাহপাক আমাদের দোয়া কবুল করবেন।
ইহকাল ও পরকালের সফলতার জন্য আল্লাহ প্রতিপালক আমাদের ইহকালে কল্যান দাও এবং পরকালেও কল্যান দাও এবং আমাদের আগুনের আজাব থেকে রক্ষা করো(সুরা বাকারা ২১০)। প্রতিদিন ইফতারের সময় শেষ রাতে ও তাহাজ্জুদ নামাজের পর দোয়া কবুলের বিশেষ মূহুর্ত। বেশী করে দোয়া, ক্ষমা প্রার্থনা, তওবা, ইসতেগফার, দরুদ শরীফ ইত্যাদি রমজান মাসের বিশেষ আমল। আল্লাহতায়ালা আমাদের সব নেক দোয়া কবুল করুন। আমিন।
সব শেষে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর কল্যানে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
Leave a Reply