মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার ::
একমাস সিয়াম সাধনার পর প্রতিটি মুসলিম পরিবারের দরজায় এসে কড়া নারছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দকে আরো আনন্দময় করে তুলতে ধনী গরীব প্রত্যেক পরিবারই চান তাদের ছেলে মেয়েদের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দের নতুন নতুন জামা কাপড় কিনতে।
তাই পছন্দের জামা কাপড় কিনতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রতিনিয়ত কেউ কেউ ছুটছেন উপজেলা সদর জগন্নাথপুরে। আবার কেউ কেউ নতুন জামা কাপড় কিনছেন গ্রামের হাট বাজার থেকে। বৈশাখ মাস ও রমজান একসাথে হওয়ায় গ্রামের মানুষের মাঝে ব্যতিক্রমী আনন্দ উৎসব বিরাজ করছে।
বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারনে বিগত বছর ঈদের আনন্দ উৎসব উপভোগ করতে পারেনি মানুষ।এবছর সরকার ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে স্বল্প পরিসরে দোকানপাঠ ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দিয়ছেন। এতে করে ব্যবসায়ীদের স্বস্তী ফিরে এসেছে। দোকানপাট খুলে দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা নতুন উদ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন এবং ক্রেতারা তাদের সাধ্য মতো পছন্দের জামা কাপড় কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন মার্কেট গুলোতে।
সরজমিনে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি বাজার ও মার্কেট গুলোতে পুরুষ ক্রেতার চেয়ে মহিলা ক্রেতার ভীড় বেশী। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তাহারা নিজেদের ছেলে মেয়েদের জন্য পছন্দ অনুযায়ী পোশাক কিনতে ও ঈদের অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয় করতে মার্কেটে ভীড় জমাচ্ছেন। তবে এতে করে অধিকাংশ ক্রেতা মাস্ক ব্যবহার না করে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে চলাফেরা করছে মার্কেটের দোকান গুলোতে।
জগন্নাথপুর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ীরা বলেন প্রতিটি মুসলিম পরিবার দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রত্যেকটি পরিবার তাদের সাধ্যমতো ঈদের পোশাক ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে সবাই মিলেমিশে ঈদের আনন্দকে উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। আমরা ব্যবসায়ীরা এই ঈদে বেশী কেনা বেচা করতে অপেক্ষায় বসে থাকি। বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারনে গত বছর ব্যবসা মান্দা ছিল। তবে এবছর কিছুদিন আগে সরকার ব্যবসা প্রতিষ্টান ও মার্কেট শপিংমল স্বল্প পরিসরে খোলার অনুমতি দেওয়ায় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করতে।
ব্যবসায়ীরা জানান বিশেষ করে গ্রাম এলাকার মানুষের মাঝে কভিড-১৯ সম্পর্কে সচেতনতা দেখা যাচ্ছেনা। আমরা ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করছি সরকারের নির্দেশনা মতো সামাজি দুরত্ব বজায় রেখে ও মাস্ক পরিধান করে চলতে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। যারা কোভিড-১৯ সম্পর্কে সচেতন তারা টিকমতো মাস্ক সেটাইজার ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছেন।
জগন্নাথপুর বাজারের অঙ্গশ্রী বস্ত্রালয়ের নির্মল রায় বলেন গত বছরের তুলনায় এবছর ঈদের বাজার একটু ভালো হবে। কারন এবছর প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় বাম্পার বোরো ফসল সুন্দর মতো ঘরে তুলতে পারায় প্রতিটি পরিবারের হাতে টাকা আছে। আমরা ব্যবসায়ীরা অনেক আশা করে ক্রেতাদের চাহিদার পোশাক রেখেছি। আশা করি গত বছরের তুলনায় এবছর একটু ভালো ব্যবসা হবে।
জগন্নাথপুর বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহির উদ্দিন বলেন মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারনে ব্যবসায়ীরা এক বছর যাবৎ ব্যবসা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিল। এবছর ও করোনার দ্বিতীয় ধাপে আমরা বষবসা প্রতিষ্টান নিয়ে মহা বিপদে আছি কখন যে কি হয়। তবে এবছর ঈদে সামান্য ব্যবসা করে কোন রকম টিকে থাকতে পারবো।
Leave a Reply