মুহিবুর রেজা টুনু সুনামগন্জ ::
সুনামগঞ্জে তাহিরপুর উপজেলায় একটি চোর সিন্ডিকেট চক্র চুরি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় আব্দুর রউফ (৪৮) নামের এক গ্রাম পুলিশকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ভোরখারা গ্রামেত খুন হওয়া গ্রাম পুলিশ আব্দুর রউফের নিজ বাড়িতে। নিহত আব্দুর রউফ ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। এবং উত্তর বড়দল ইউনিয়নে কর্মরত একজন গ্রাম পুলিশ সদস্য।
পরে সকালে তাহিরপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। এবং খুনিদের ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী সেলেনা বেগম ও গ্রাম পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী এই প্রতিবেদককে বলেন, আজ সেহরির খাবার খেয়ে তার স্বামী আব্দুর রউফ তাদের নির্মাণাধীন নতুন ঘরের খোলা বারেন্দায় ও আমি ঘরের বিতরে ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় ২/৩ জন চোর ঘরে ডুকে তাদের স্যালারের ব্যটারী চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় টের পেয়ে আব্দুর রউফ চোরদের চিনেছি বলে চিৎকার দিলে এ সময় চোরদের হাতে থাক বুজাং(ছুরি) দিয়ে তার বুকের বাম পাজরে গাই(আঘাত) করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে আমি( রউফের স্ত্রী সেলানা) চিৎকার শোনে ঘরের বাহিরে এসে বারেন্দার পাশেই মাটির রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় আব্দুর রউফকে পরে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে আব্দুর রউফ জীবিত আছে ভেবে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধের জন্য ব্যান্ডেজ করে কিন্তু তৎক্ষণে সে মৃত্যু বরণ করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শব্দর আলী জানান, তার ঘরের স্যালারের ব্যাটারি চুরি করার সময় চোরদের চিনতে পারায় চোরদের ভুজাং এর আঘাতে আব্দুর রউফ খুন হয়েছে শুনেছি।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, ঘটনার স্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পঠিয়েছে। তবে খুনের প্রকৃত ঘটনা এখনো জানা যানি। প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
Leave a Reply