মুহিবুর রেজা টুনু সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
এৎস্য পাথর ধান সুনামগঞ্জের মানুষের প্রাণ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ভরাট হয়ে যাওয়া খাল, বিল ও জলাশয়গুলোর খনন কাজ শেস পর্যায়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসে পলি জমে এই সমস্ত খাল বিল আর জলাশয়গুলোর নব্যতা হ্রাস পাওয়ায় শুকনো মৌসুমে জলাশয়গুলোর পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে কৃষকরা সময়মতো তাদের কষ্টার্জিত বোরো জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। অন্যদিকে জলাশয়গুলোতে পানির গভীরতা না থাকার কারণে বিভিন্ন প্রজাতির দেশঅীয় সুস্বাদু মাছগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময় ছিল অসংখ্য হাওর বাওর আর জলাশয়ে প৪ানির প্রবাহ ব্যাপক থাকার কারণে প্রচুর দেশীয় প্রজাতির মাছের অভয়াশ্রম ছিল। যা এই জেলার মানুষজনের আমিষের চাহিদা মিটিয়ে দেশ বিদেশে ঐ সমস্ত মাছ রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও করা হতো। আজ সেই অবস্থা থেকে অনেকটা সরে এসেছে জলাশয়গুলোর রক্ষনাবেক্ষন আর তদারকির অভাবে। কিন্তু বর্তমান শেষ হাসিনার সরকারের পরিকল্পনায় মৎস্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পরে হলে হাওরের জেলাগুলোতে খাল বিল ও জলাশয়গুলোতে খনন কাজ শুরু হওয়ায় আবারো জলাশয়গুলোতে পানির গভীরতা বৃদ্ধি পেলে কৃষকরা যেমন উপকৃত হবেন পাশাপাশি মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত সুনামগঞ্জের প্রতিটি জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন প্রকার মাছে আবারো সমৃদ্ধ: হবে।
এ কারণেই হাওরের জেলাগুলোতে দেশীয় প্রজাতির মছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জলাশয়গুলো খননের উদ্যেগ গ্রহন করছে সরকার। চলতি বছর জলাশয়গুলো সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ৬ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার খনন কাজ চলছে। ফলে আশাবাদী হয়ে উঠছেন হাওরপাড়ের কৃষক ও মৎস্যজীবীরা। জেলায় জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পে আওতায় জলাশয়ের খনন কাজ চলছে। হাওরপাড়ের সরকারি জলাশয়গুলো খননকাজে চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৬ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। জেলার সুনামগঞ্জ সদর, জামালগঞ্জ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর,ধর্মপাশা ও দিরাইসহ মোট ৬ টি উপজেলায় ৪৫ টি স্কিমে ২৮ টি জলাশয়ের খনন কাজের মধ্যে সিংহ ভাগ জলাশয়ের খনন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং ইতিমধ্যে কয়েকটি জলাশয়ের খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়। জলাশয়গুলো খনন করার ফলে যেমন জলাশয়গুলোতে মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধি পাবে তেমনি হাওরপারের মৎস্যজীবীরা যেমন মাছ সংগ্রহ করতে পারবে অন্যদিকে সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে সুফলতা পাবেন কৃষকরাও।
এ ব্যাপারে হাসামেলা চুন্নী গ্রুপ জলমহালের সাধারন সম্পাদক মহরম আলী বলেন, আমরা জলাশয় খননের কাজ সম্পন্ন করেছি। জলাশয়টি খননের ফলে যেভাবে দেশীয় প্রজাতি মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ভাবে ঠিক তেমনি হাওরের কৃষকেরাও জমিতে পানি দিয়ে অধিক ফলনে উপকৃত হবেন।
এ ব্যাপারে মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, আমাদের দেখার হাওরের পাশেই পাংগাইয় জলাশয়। জলাশয়ের চারপাশে রয়েছে ২ শ একর জমি। পানির অভাবে অনেক সময় আশানুরুপ ধান ফলানো যায়না। জলাশয় খনন করার ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে প্রভাষক মোঃ মশিউর রহমান বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য এ খালগুলো সংস্কার খুবই প্রয়োজন। সরকারের এ উদ্যেগকে স্বাগত জানাই।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য অফিসার সীমা রানী বিশ্বাস জানান, জেলার ৬ টি উপজেলার ৪৫ টি স্কিমের আওতায় ২৮ টি জলাশয়ের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি’র খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। জলাশয় খননের ফলে জেলাবাসী সুফল পাবে। দেশীয় প্রজাতির মাছেন প্রজনন বাড়বে এবং অন্যদিকে কৃষকরা তাদের কৃষি জমিতে সেচ দিয়ে অধিক ফসল ফলানোর সম্ভব । তিনি বলেন এই খাল বিল ও জলাশয়গুলো খননে সব সময় আমাদের মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা মনিটরিং করছেন তদারকি করছেন যাতে করে নির্দেশনা মোতাবেক সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে কাজগুলো সম্পন্ন হবে বেল তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply