হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া: সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের এরালিয়া বাজার অত্র এলাকার প্রাচীন বাজার । এই বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নলজুড় নদী নদীর উপর অবস্থিত দুইটি ব্রীজ । একটি ব্রীজ থেকে আরটি ব্রীজের মাঝ খানে মাত্র ২শত ফুট কাঁচা রাস্তা। এই গুরুত্বপূর্ন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন অত্র এলাকা ও নিকটবর্তী ছাতক থানার জনসাধারন, শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ। তবে বর্তমান বর্ষা কালীন সময় রাস্তাটির বেহাল দশায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা মাড়িয়ে পথ চলতে হয় এসব এলাকার মানুষকে। অত্র এলাকার মানুষের জেলা শহর সুনামগঞ্জ ও উপজেলা সদর জগন্নাথপুর সাথে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। এই সড়ক দিয়ে কাদা মাড়িয়ে চলতে গিয়ে রাস্তায় বৃদ্ধ ও শিশুরা প্রায় আহত হয়। এই রাস্তা দিয়ে অসংখ্য যানবাহন এবং পায়ে হেঁটে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ চলাচল করে। রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে এতই কাদায় পরিনিত হয় যে, সন্ধ্যার পর একটু অন্ধকারে হেঁটে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদায় রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
স্থানীয় ইউ/পি সদস্য মো: ছালিক মিয়া জানান, রাস্তাটি পাকা করার জন্য যথাযথ কতৃপক্ষ বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করেছি। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তাটি। কিন্তু বর্তমানে এই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমি মানীয় পরিকল্পনা মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে রাস্তাটি পাকা করনের ব্যবস্থার দাবী জানাই।
এই এলাকার ব্যবসায়ী জুবেদ মিয়া, মোতাহির মিয়া, সমাজ সেবক সফিক মিয়া, আজাদ মিয়া, আনহার মিয়া, মো: তখজ্জুল মিয়া,শামীম আহম্মদ, মাহবুব মিয়া, সাজ্জাদুর রহমানসহ অনেকেই বলেন, একমাত্র চলাচলের রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টি হলেই অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকি। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদার মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এরালিরয়া বাজার সেক্রেটারী মো: আবু বক্কর জানান সাসান্য একটু রাস্তা পাকা না থাকায় যাতায়াতের অসুবিধার কারনে ক্রেতা ও বিক্রেতারা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী এরালিয়া বাজারের দুইটি ব্রীজের মধ্যখানের এই সামান্য রাস্তাটি পাকা করনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করছেন।
Leave a Reply