সুনামগঞ্জ প্রতনিধি::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব নতুন পাড়া আবাসিক এলাকার ওএমএস এর চাল কালো বাজারে বিক্রীর চেষ্টাকালে প্রতিবাদ করায় গত ১মাস আগে ডিলার রতন লাল ধর কর্তক হুমকি । অবশেষে ১মাস পর ডিলার রতন গংদের সন্ত্রাসী হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মঈনুল ইসলাম (সুলতান ) (৩২)কে প্রকাশ্যে দিবালোকে ধরে নিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়। আহত মইনুল ইসলাম সুলতান সে শান্তিবাগ আবাসিক এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা কনা মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি ঘটে ১৪ই আগষ্ট শনিবার দুপুরে পূর্ব নতুন পাড়া আবাসিক এলাকায় মরাটিলা কবরস্থানের সামনের নতুন পাড়ার মেইন রাস্থায় । আহত যুবককে রক্তাক্ত ও জখম প্রাপ্ত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারিরীক অবস্থার উন্নতি না হলে কতর্ব্যরত ডাক্তার সিলেট প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত সুলতানের বড় ভাই মো: ইকবাল হোসেন তিন জনের নাম উল্ল্যেখ করে এবং ৪/৫জন অজ্ঞাতনামাকে বিবাদী করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন নতুনপাড়া এলাকার সরকারী ওএমএস এর চাউল আত্নসাধকারী ডিলার রতন, চিহ্নিত মাদকসেবী ইয়াসিন ও রফিকুলসহ অজ্ঞাতনামা ৪পাচঁজন ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মাসখানেক পূর্বে ডিলার রতন কালো বাজারে চাল বিক্রীকালে সুলতান মিয়া টাকা দিয়ে চাল পাননি। এর পর থেকে সুলতান মিয়া চালের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়েও অবশেষে বাড়ি ফিরেন। তখন কাল বাজারে চাল বিক্রির প্রতিবাদ করায় ডিলার রতন সুলতানকে হুমকি দেয় এবং সুযোগ মত পেলে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ার কথা বলে তাড়িয়ে দেয়। পূর্ব বিরোধের জেরে শনিবার দুপুরে সুলতান মিয়া বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে শান্তিবাগ-মরাটিলা পয়েন্ট থেকে তাকে ধরে নিয়ে পূর্ব নতুন পাড়া এলাকায় ধারালো অস্ত্র স্স্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ডিলার রতন লাল ধর, ইয়াছিন মিয়া, রফিকুল ইসলামসহ একদল মাদক সেবী সন্ত্রাসীরা ।মরাটিলা খবর স্থানের সামন থেকে সুলতানকে মারতে মারতে নতুনপাড়া ফারিহা একাডেমির সামনে নিয়ে যায়। এসময় খবর পেয়ে আহত সুলতানের স্বজনরা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সুলতানকে প্রাণে রক্ষা করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান । আহত সুলতান মিয়া সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুলতান মিয়া বলেন প্রায়ই দু:স্থ গড়িব লোকজন রতনের কাছে আসেন চাল নেওয়ার জন্য। কিন্তু অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। প্রতিবাদ করলেই সন্ত্রাসী রতন লালের হামলার শিকার হয়। তার বসত বাড়িতে ওএমএসের চাল মজুত রাখা হয়। কেউ পায় ২০ কেজি, কেউ পায় ১ বস্তা ,আবার কেউ খালি হাতে ফিরতে হয় বাড়িতে। পরিকল্পিত ভাবে আমার উপর হামলা করেছে সন্ত্রাসী রতন , ইয়াসিন,রফিকুলসহ আরও ৪/৫জন। আমার পকেটে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রতন লাল ধর বলেন, মারামারির ঘটনার সাথে চালের কোন সম্পর্ক নেই। ইয়াসিন ও রফিকুল তারে মারছে আমি মারিনি।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply