বুলবুল আহমদঃ–
হবিগঞ্জের আছিপুর থেকে দুই বছরের শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবীর প্রায় ৩ ঘন্টার মধ্যে অক্ষত অবস্থায় শিশু উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
জানাযায়, গত এক মাস পূর্বে আছিপুর গ্রামের শেখ আব্দাল মিয়ার বাড়িতে কৃষি কাজে যোগ দেয় নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের বোয়ালজুর গ্রামের ছুরাব উল্লার পুত্র জসিম মিয়া (২৫)। সে ভারতীয় সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল দেখে আব্দাল মিয়ার ২ বছরের শিশু পুত্র ফারাবি আহমদকে অপহরণ করার চিন্তা করে। কিছু দিন চিন্তা ভাবনার পর এক পর্যায়ে গত রবিবার দুপুর ২টার দিকে দোকান থেকে বিস্কুট এনে দেবার কথা বলে শিশু ফারাবিকে জসিম কোলে করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে ঐ শিশুকে নিয়ে আত্মগোপন করে। পরে ঘন্টা খানেক পর শিশুর বাবার কাছে মোবাইলে কল দিয়ে মুক্তিপণ দাবী করে। এমন কি মুক্তিপণ না দিলে শিশুকে হত্যা করে গুম করে ফেলবে বলে জানায়। এ বিষয়টি আব্দাল মিয়া সাথে সাথে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মাসুক আলীকে জানানে তিনি থানার নবাগত এসআই ও মিডিয়া অফিসার মোঃ সজিব মিয়াকে দায়িত্ব দেন। এ দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথে অপহৃত শিশু উদ্ধারের জন্য তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হন অপহরণকারী জসিম ঐ শিশুকে নিয়ে বাহুবল উপজেলার ঘরিকান্দি নামের একটি বাগানে অবস্থান করছে। ঐ দিন বিকাল ৫টার দিকে এসআই সজিব, এসআই শুভ দাশ, এএসআই হাবিবুর রহমান সহ একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী জসিমকে আটক করেন। পরে জসিমের স্বীকাররোক্তি মতে ঐ স্থান থেকে শিশু ফারাবিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে আব্দাল ও তার আত্মীয় স্বজনদের ধারনা পুলিশ যদি জরুরি ভিত্তিতে শিশুকে উদ্ধার না করতো তাহলে হয়তো জসিম তাদের শিশুকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলতো।
গতকাল সোমবার বিকালে জসিমকে হবিগঞ্জ আদালতে প্রেরন করলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জসিম তার দোষ স্বীকার করে। এ ঘটনায় ঐ শিশুর পিতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মাসুক আলী জানান, জসিমকে আটক করার পর আদালতে প্রেরন করলে সে তার দোষ স্বীকার করে। এবং বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর না জেল হাজতে প্রেরন করেন। এ মামলার চার্জশীট তাড়াতাড়ি আদালতে প্রেরন করা হবে।
পুলিশ যথা সময়ে অপহরণকারীকে আটক ও শিশু উদ্ধারের খবর পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে সাধুবাদ জানান।
Leave a Reply