শামছুল আলম আখঞ্জী তাহিরপুর প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার আখড়ার কালভার্টসহ জরাজীর্ণ রাস্তা ভেঙ্গে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে মটর সাইকেল ও টমটমে যাতায়াত করছেন এলাকার মানুষ। এই দুর্ভোগ লাঘব হবে কবে!
উপজেলায় রয়েছেন তিনটি শুল্ক স্টেশন,বালু পাথরের উত্তোলনের স্থান যাদুকাটা নদী । এ থেকে সরকার পাচ্ছে’ শত কোটি টাকা রাজেস্ব । কিন্তু অবহিত এই জনপদের মানুষ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জরাজীর্ণ রাস্তা দিয়ে চলাচল হাওর পাড়ের মানুষের । আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত টাংঙ্গুয়ার হাওর রামসার দ্বিতীয় সাইট (১০৩১নাম্বার)’ শহীদ সিরাজ লেক পর্যটন কেন্দ্র,যাহা দেখতে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসেন প্রকৃতি সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই রাস্তার উপর দিয়েই চলে,আসা যাওয়া । এ যেন দেখার কেউ নেই । এই চিত্র তুলে ধরার লোকের রয়েছে অভাব । ভাটির দুর্ভোগ শেষ হবে কবে! এমন টা জানান স্থানীয় জনতা।
প্রায় বছর খানেক হলেও ,তবুও কালভার্টটি মেরামতের কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামন দিয়েই বয়ে গেছে এই জরাজীর্ণ রাস্তা। দশ কিংবা দেশের উন্নয়নের কাজ করতে রাজি নন’ কেহ বিনা স্বার্থে। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। নির্বাচন এলেই’ দেন প্রতিশ্রুতি মাত্র। এই ভাঙা চোরা রাস্তা দিয়েই , জনপ্রতিনিধিসহ জনগনের চলাচল । কে বলবে’এসব কথা, সবার চোখে পড়ে, ভাঙা রাস্তার চিত্রটা! সবাই স্তব্ধ।
বর্তমানে এক পাশ ভেঙ্গে যাওয়ার কালভার্টটি দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী এবং যানবাহন চলাচল করছে। ফলে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষের। এই দুর্ভোগ কবে শেষ হবে ।
এই সড়কটি দিয়ে তরং, শ্রীপুর, নোয়াবন্দ ,কুড়ের পাড় ,খালা শ্রীপুর, মাটিয়ান, কদণতলী, শিবরামপুর, বেতাগড়া, তেলীগাও, জামালপুর, নবাব পুর, মদনপুর ,মন্দিয়াতা, কামালপুর, চিলানি তাহিরপুর, জয়পুর ,গোলাবাড়িসহ অনেক এলাকার মানুষ জেলা ,উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন।
কৃষি পণ্য সহ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বাজার হতে আমদানি কৃত পণ্য সরবরাহ করেন টমটম, মটর সাইকেল, ঠেলাগাড়ী দিয়ে।
সরজমিনে গিয়ে দেখো গেছে, একপাশ ভেঙ্গে যাওয়ায় কালভার্টটি অন্যপাশ দিয়েই এখানকার টমটম (অটোরিক্সা) মটর সাইকেল ঠেলাগাড়ী ও মালবাহী গাড়ী চালকরা জীবিকার তাগিদে’ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন।
যোগাযোগ মত্রনালয়ের উদ্ধতর্ন কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবি, কালভার্টিসহ (নতুন বাজার হতে দলই গাঁও বনবিভাগের” বিট অফিস পর্যন্ত) রাস্থাটি দ্রুত সংস্কার করা হলে জনমানুষের জীন মান উন্নত হবে’ নির্বিঘ্নে চলাচলের পথ সুগম হয়ে।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ শাহীন আখঞ্জী বলেন , স্বপ্ন ছিল” আওয়ামী লীগ সরকার এলে, শ্রীপুর বাজার থেকে উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ সড়ক স্থাপন হবে। হবে স্বপ্নের বাস্তবায়ন। কিন্তু স্বপ্ন, স্বপ্নেই থেকে গেল । জানি না এর কারণ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। ভাটির জনপদে রাস্তাসহ কালভার্ট জরাজীর্ণ এর চেয়ে মাটির রাস্তাই ছিল ভাল। আমরা কেন! মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। । রাস্তাটি একপাশ ভেঙ্গে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে।
এই রাস্তাসহ কালভার্টটি দ্রুত মেরামত করার জন্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোরদাবী জানাই। ভাটির জনপদে আপনার দৃষ্টি ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বদি উজ্জান বলেন, এই রাস্তাটি জরাজীর্ণ,যাঁর কারণে ছাত্র- ছাত্রীরা, যাতায়াতের অসুবিধা হয়। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। জনস্বার্থে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন মান সুরক্ষার স্বার্থে, দ্রুত গতিতে রাস্তাটি মেরামতসহ নতুন করে পাকাকরনের দাবী জানিয়ে, উদ্ধতর্ন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
এ ব্যাপারে,উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী খসরুল আলম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে,তিনি বলেন রাস্তাটি ভেঙে গেছে সত্যিই , জন মানুষ যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে।আমি এ বিষয়ে উদ্ধতর্ন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে চলছি। দ্রুত মেরামত করার জন্য, আমার পরিষদের এত বাজেট নেই, যদি থাকতো তাহলে অনেক আগেই’ আমি এই জন দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে দিতাম।
এ ব্যাপারে, উপজেলার প্রকৌশলী ইকবাল কবির জানান,এর থেকে ও জনগুরুত্ব রাস্তা রয়েছে। সেটিও জরাজীর্ণ । এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোন বরাদ্দ নেই। যদি পারেন এম পি মহোদয় কে অবগত করেন। তিনি যেকোনো বরাদ্দ দিয়ে
রাস্তা পাকাকরন করতে পারবেন ।আমি যা বরাদ্দ পাঠিয়েছি তাও পাস হয় নি। আমি এখন কি করে সেই রাস্তা মেরামত করি।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির বলেন, জনস্বার্থে দ্রুত কালভার্টসহ রাস্তাটি মেরামত করার জন্য, উদ্ধতর্ন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
Leave a Reply