হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া::
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জগন্নাথপুর থানায় যোগদানের পর থেকে সাধারণ মানুষকে নিঃশ্বার্থরভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মানবতার ফেরিওয়ালা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান গত (১৭ জুন ২২ইং) তারিখ হঠাৎ ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড় থেকে নেমে আসা উজানি ঢলে জগন্নাথপুর উপজেলার প্রায় ৯৯% ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট,হাট-বাজার প্লাবিত হয়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষেের মৎস্য খামার, গরু,ছাগল, হাঁস, মোরগ, ধান, চাল আসবাবপত্র সহ পানির স্রোতে ভেসে যায়। তাই জগন্নাথপুর থানা এলাকার মানুষ গুলো দিশেহারা হয়ে সরকারি বেসরকারি স্কুল-মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন স্থাপনায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাতে মানুষের মধ্যে খাবারের অভাব দেখা দিলে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ ও জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মোঃ মিজানুর রহমানের উদ্যোগে ত্রাণ সংগ্রহ পূর্বক আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে রান্না করা খাবার তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বিতরণ করেন এবং প্রতি দিন থানার প্রাঙ্গণে প্রায় শতাধিক বন্যার্ত মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন চাল,ডাল,তৈল, পিয়াজ ইত্যাদি বিতরণ অব্যাহত রেখেছিলেন। এছাড়াও তিনি প্রতি রাতে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে থানার অফিসারদের মাধ্যমে বন্যায় প্লাবিত ঘরবাড়ি ও তাদের সম্পদ চোর-ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষার জন্য টহল অব্যাহত রেখেছিলেন।
এতে করে সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পেরেছে। জগন্নাথপুর থানার সকল অফিসারবৃন্দ মানুষের নিরাপত্তার জন্য দিন রাত প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে জগন্নাথপুর পৌরসবার সুনামধন্য পৌর মেয়র আক্তারুজ্জামান আক্তার বন্যার্ত্য মানুষের জন্য পৌর ভবন উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন এবং তিনি নিজে বন্যার্তদের সেবা দিতে দিন রাত পৌরভবনে তাদের সাথে থেকে অসহায় বন্যার্তদের খাবার সহ সকল ধরনের সেবা দিয়ে গিয়েছেন। বন্যার্তদের মধ্যে আজিজুল মিয়া, রইছ আলী, আকিক মিয়া, বকুল মিয়া, রাকিব আলী, রুকিয়া বেগম, শজিনা বিবি, জয়তেরা বিবি, ফুলমালা, কুতুব উদ্দিন, রফিক মিয়া, পিরুজ মিয়া সহ অনেকেই জানান পৌর মেয়র আক্তার ভাই আমাদেরকে পৌরসভায় আশ্রয় ও ত্রাণ সামগ্রী দিছেন এবং ওসি সাব রান্না করা খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী দিছেন।
পৌর মেয়র আক্তারুজ্জামান আক্তার দৈনিক দেশ বাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আমি সহ সকল কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কে সাথে নিয়ে বন্যার্ত পৌরবাসীর সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং আমার নির্মাণাধীন পৌরভবন বিশেষ করে কাউন্সিলরদের অফিস কক্ষ আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। এতে আমাদের কোনো প্রকার কার্পূন্যতা ছিলনা।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান দৈনিক দেশ বাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন আমি একজন মানুষ আর মানুষ হিসাবে মানুষের সেবা করা আমার ধর্ম, হঠাৎ করে বন্যা আসায় উপজেলা বাসি বিপদ গ্রস্ত হয়ে পরেছেন। অসহায় বন্যার্তদের বিপদে পাশে থেকে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আমি ও আমার অফিসারগণ সহ রান্না করা খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছি। কতটুকু সেবা করতে পেরেছি জানিনা। তবে আমার সাধ্যমত যতটুকু সাহায্য সহোযোগিতা করেছি তাতে উনাদের কিছুটা হলেও উপকারে আসবে এবং আমি সবসময় অসহায় মানুষের সেবা করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply