এস ডি ফয়েজ আহমেদ::
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজার ট্রলি স্টেশনের মাসিক চাঁদা উত্তোলন কে কেন্দ্র করে ট্রলি চালকের বাড়িতে হামলা করেছেন পাটলী ইউনিয়নের সমজপুর গ্রামের ফজলুল করিম এর ছেলে আব্দুল মমিন ও তার লোকজন।
হামলা চলাকালীন সময় হামলার শিকার সাগর আহমদের পরিবার ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ আসার আগেই আব্দুল মমিন এর লোকজন ট্রলি চালক সাগর আহমদ এর বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এলাকাবাসী জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে রসুলগঞ্জ বাজার এলাকার মোঃ আব্দুল জব্বার এর পুত্র সাগর আহমদ ও সমজপুর গ্রামের ফজলুল করিম এর ছেলে আব্দুল মমিন এর সাথে ট্রলির মাসিক চাঁদা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির জেরে আব্দুল মমিনের নেতৃত্বে ১৫/১৬ জনের একটিদল সাগর আহমদের বাড়িতে হামলা,ভাংচুর ও নগদ টাকা লুট করে। এই ব্যাপারে সাগর আহমদ এর ভাই নূর আহমদ বাদী হয়ে নূর ইসলামকে প্রধান আসামী করে আব্দুল মমিনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিবাদীগন এলাকায় এক দলীয় লাঠিয়াল পুরধনলো়ভী, দাঙ্গাবাজ, উগ্র, সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদীগণ এলাকায় গায়ের জোরে চলাফেরা করে এলাকার মুরব্বিয়ান সহ কাউকে তোয়াক্কা করে না। ফলে এলাকার লোকজন তাদের অন্যায় কার্যকলাপের প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। আমিও বিবাদীগন পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা আমার ভাই সাগর আহাম্মদ একজন ট্রলি চালক ও বালু পাথর ব্যবসায়ী। ট্রলির মাসিক চাঁদার টাকা উত্তোলন নিয়ে আমার ভাইয়ের সাথে বিবাদী আব্দুল মুমিনের কথা কাটাকাটি হয়। ইহার জেরে ২৬ /২/২০২৫ইং তারিখ দুপুরে বিবাদীগণ হাতে ধারালো রামদা, লোহার রড, শাবল, লাঠিসোটা ইত্যাদি দেশীয় তৈরি অস্ত্রে- সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে আমার বসত ঘরে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া বিবাদী নুরুল ইসলাম এর হুকুমে আমার বসত ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করিয়া অনুমান ৭০/ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ সময় আমার মা মমতাজ বিবি স্ত্রী পারভিন বেগম বিবাদীদের বাঁধা নিষেধ করায় বিবাদীগণ তাদের এলোপাতাড়ি মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে লীলা ফুলা জখম করে। বিবাদী আব্দুল মমিন আমার স্ত্রীর চুলে ধরিয়া কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী করে। এই ব্যাপারে সাগর আহমদ বলেন,
এক পর্যায় বিবাদী নুর ইসলাম আমার বসত ঘরে আলমারিতে রক্ষিত নগদ ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে এলাকার সালিশী ব্যাক্তি মোঃ আতাউর রহমান বলেন, আমি তাদের সংঘর্ষের খবর শুনে ঐ জায়গায় গিয়ে উভয় পক্ষকে সান্ত করে সন্ধ্যায় তাদেরকে নিয়ে বসে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য বলা হয়। দুপুরের দিকে আমার কাছে ফোন আসে যে নুর ইসলাম সহ কয়েকজন সাগর আহমদের ঘরে ঢুকে হামলা, ভাংচুর সহ টাকা পয়সা নিয়ে যায়।আমি সরেজমিনে এসে দেখেছি তাদের ঘরের ভিতরের জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়েছে।
Leave a Reply