স্টাফ রিপোর্টার: জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের রমাপতিপুর গ্রামে শাহ গালিম (র:) মাজার অবস্থিত। এ মাজারকে ঘীরে দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন একই এলাকার মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে আসলাম উদ্দিন তার অসামাজিক কার্যকলাপ। শাহ গালিম (র:) ওয়াক্ফ এস্টেট এর যুগ্ম মোতায়াল্লী ইয়াওর মিয়া সহ এলাকাবাসী আসলাম উদ্দিনের এসব অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করে আসছেন। গত কয়েক বছর যাবত ওরসের নামে মাজার এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপের আয়োজন করলেও রমাপতিপুর এলাকাবাসীর বাধার মূখে তা করতে পারেনি। এর পরেও তার চেষ্টা থেমেনি। কৌশল পরিবর্তন করে লিপলেটে এলাকার সুনামধন্য রাজনীতিবিদ ও বিমিষ্ট ওয়াজীদের নাম ব্যবহার করে গত ১৫ মার্চ আসলাম উদ্দিন ওয়াজ মাহফিলের নামে মাজার এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপের প্রস্তুতি নিলে এলাকাবাসী তাতে বাধা দেয়। এনিয়ে এলাকাবাসী ও আসলাম উদ্দিনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশ মাজার এলাকায় সব ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে আসলাম উদ্দিনকে সতর্ক করে দেন। এবিষয়ে শাহ গালিম (র:) ওয়াক্ফ এস্টেট এর যুগ্ম মোতায়াল্লী ইয়াওর মিয়া জানান, আমি ব্যক্তিগত কাজে এলাকার বাহিরে অবস্থান করার কারনে আসলম উদ্দিনকে মাজারের সার্বিক দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে থাকি। এসুযোগকে কাজে লাগিয়ে আসলম উদ্দিন নিজেকে মাজারের খাদিম পরিচয় দিয়ে মাজারের ভক্তবৃন্দের দানের টাকা, মন্ত্রীর বরাদ্ধের টাকা, মাজার এলাকার মূল্যেবান গাছ বিক্রয়ের টাকা সহ বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মাত করে। এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে দুস্কৃতিকারী লোকজনকে জড়ো করে মদ, গাঁজা সহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি সহ এলাকাবাসী এসব বিষয়ের প্রতিবাদ করে তাকে মাজার এলাকা ছাড়ার নির্দেশ প্রদান করলে সে মাজার এলাকা না ছেড়ে জোর পূর্বক মাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। এনিয়ে সম্প্রতি এলাকাবাসীর সাথে বিরোধ দেখা দিলে থানা পুলিশের সহায়তায় আমি যুগ্ম মোতায়াল্লী হিসেবে মাজারের সম্পূর্ন দায়িত্ব গ্রহন করি।
Leave a Reply