আব্দুল তাহিদ: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঈদ যেতে না যেতেই হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর কারণ হচ্ছে ঈদের বাজারকে কেন্দ্র করে অনেক বিপনী বিতানে ছিল ক্রেতা সাধারণের লক্ষণীয় ভীড়। ছিল না স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার, মানা হচ্ছিল না সামাজিক দুরত্ব। প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিধি-নিষেধ মানলেও তাদের অনুপস্থিতিতে যেই সেই। যার ফলে ঈদের পরপরই ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবুও অসচেতন অবস্থায় অবাধে চলছে মানুষের ঘুরাফেরা। উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। হাট-বাজারে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া ও সামাজিক দুরত্ব না মেনে অবাধে মানুষের বিচরণ লক্ষনীয়। ইতোমধ্যে উপজেলায় ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মানুষের এরকম অসচেতনতা অব্যাহত থাকলে করোনার ভয়াবহতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। উপজেলা সদরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, পৌর পয়েন্ট, হেলিপ্যাড, সবজি বাজার, মাছ বাজার, ইকড়ছই পয়েন্ট ও স্লুইচ গেটের বিভিন্ন চায়ের দোকান, মুদিদোকান, বিপণী বিতানসহ অলিতে গলিতে জোটবদ্ধ হয়ে ঘুরাফেরা করছে মানুষরা। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া ভীড় জমাচ্ছেন যেখানে সেখানে। সিএনজি, অটোরিকশা, মিশুক সহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে চলছেন যাত্রীরা। বর্তমানে হু হু করে করোনা রোগী বৃদ্ধি পেলেও মানুষের মাঝে অসচেতনতা দেখা যাচ্ছে। ঈদের জন্য লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ার কারণে গত রমজানে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অবাধে চলাফেরা করার কারণে ঈদের পরপরই ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে উপজেলার বেশিরভাগ হাট-বাজার সময় মতো খোলা ও বন্ধ রাখলেও কয়েকটি বাজারে অবাধে খোলা ছিল দোকান পাট যার ফলে ওইসব এলাকায় করোনা রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যেভাবে এখন মানুষের মধ্যে অসেচতনতা দেখা যাচ্ছে তাতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকগুন বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মধু সূধন ধর বলেন, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে উদ্ভুদ্ধ করেছি। তবুও ৫০ ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। নিয়মিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে জনসাধারণকে উদ্ভুদ্ধ করছেন বলে জানিয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম মাসুম। তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে অনুরোধ করে যাচ্ছে। এর ব্যাঘাত ঘটলে জরিমানা করছি। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply