দৈনিক দেশবাংলা ডেস্ক::
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের মোটরঘাট এলাকায় রাতারগুল খেয়াঘাটের ইজারা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হলেও দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের শরীরে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট এমএজি ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
আশঙ্কাজনক ওই দুইজন হলেন- খাদিমনগর ইউনিয়নের এওলারটুক গ্রামের আনা মিয়া (৫০) ও চাঁনপুর গ্রামের আমির আলী (৩৭)। এছাড়াও ওই সংঘর্ষে ওসমানীতে হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক শিশুসহ আরও ৫ জন। তারা হচ্ছেন- আমির আলী (৪০), আব্দুল শহীদ (২০), আব্দুল বশির (৫৫), ইউসুফ আলী (৪৫) ও মুমিন (১৩)।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জানা যায়, রাতারগুল জলাবনস্থ মোটরঘাট বাজার ঘাটটি বন বিভাগ কর্তৃক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। অপরদিকে নদীর খেয়াঘাটটি নতুন করে ইজারা নেন জুহি এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আফতাব মিয়। খেয়াঘাট দিয়ে সাধারণ মানুষের পারাপার করার জন্য সিলেট জেলা পরিষদ ইজারা প্রদান করা হয়। মোটরঘাট দিয়ে পর্যটকদের নৌকা ভ্রমণের নির্দেশনা রয়েছে। তবে খেয়াঘাটের ইজারাদার আফতাব মিয়ার লোকজন জোরপূর্বক বন বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত সিএমসি কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত পর্যটকদের খেয়াঘাটটি দখল করার করার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে মঙ্গলবার উত্তেজনা দেখা দেয় এবং একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় ২০জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতদের মধ্যে আরও কয়েকজন হচ্ছেন- দিলোয়ার, আব্দুর রহমান, আব্দুর নুর, আলী হোসেন, আত্তর আলী, আজর আলী, কয়েছ আহমদ, জাহাঙ্গীর মিয়া, দানা মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, মনির মিয়া ও মকবুল হোসেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন কেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। এখনও অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply