আল-আমিন, মধ্যনগর প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার বংশীকুন্ডা (দঃ) ইউনিয়ন টাংগুয়ার হাওরের পশ্চিম পারের ঐতিহ্যবাহী একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ।আগামী ইউপি নির্বাচনে এই ইউনিয়নে বাংলাদেশ আ.লীগের মনোনয়ন চান মধ্যনগর থানা আ.লীগের সদস্য ও বংশীকুন্ডা (দঃ) ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক সাজেদা আহমেদ। হাওর পারের বেসরকারি সমাজ কল্যাণ মূলক সংগঠন ‘জল জনপদ নারী ও শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা (জনাশিউস) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক সাজেদা আহমেদ এলাকায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরন বিতরণ, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান ও স্থানীয় বংশীকুন্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয়, বংশীকুন্ডা কলেজ ও পাঠশালা গার্লস একাডেমি ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে আর্থিক অনুদান দিয়ে এলাকায় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ভূমিকা রাখছেন। কেন্দ্রীয় হাওর সাহিত্য পাঠাগারের আজীবন দাতা ও হাওরপারের ধামাইল ( হাপাধা) বাংলাদেশ এর সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাজেদা আহমেদ বংশীকুন্ডা (দঃ) ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা রাসেল আহমদ এর সহধর্মিণী।
একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,আমার দুই চাচা শ্বশুর ও স্বামী এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাদের সময়ে এ ইউনিয়নে নানাবিধ উন্নয়ন হয়েছে। আমি তাদের পদানুসরণ করেই ইউনিয়নকে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, উন্নত ও নারী বান্ধব ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা বিষয়ে তিনি বলেন ‘গণ প্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ৯০ এর (ক) ধারা অনুযায়ী সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রদানে ৩৩ শতাংশ নারীদের নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংবিধানের ১০ ও ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘জাতীয় জীবনে সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহন’ রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
এছাড়াও দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের অন্যতম সদস্য ডঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মনোনয়নের জন্য তৃণমূলের প্রস্তাবনায় যদি কোনো নারী প্রার্থীর নাম দুই বলা তিন নম্বরেও থাকে সে ক্ষেত্রে নারী প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাই দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আমি সর্বোচ্চ আশাবাদী।
এলাকায় প্রসূতি মা ও শিশু স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিমুক্ত করার ক্ষেত্রে বেসরকারি আর্ন্তজাতিক সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ এর সাথে ব্যক্তিগত অর্থায়নে অংশনেয়া এ নারী নেত্রী আরো বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথমেই স্বাস্থ্য খাতে অগ্রাধিকার দিতে চাই। নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।বিনামূল্যে ও ভোগান্তিবিহীন সকল প্রকার নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হবে। ওয়ার্ড ভিত্তিক সমহারে উন্নয়ন কার্যক্রম করা হবে। ইউনিয়নের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সমহারে উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া দেওয়া হবে।এছাড়াও ইউনিয়নকে শতভাগ নিরক্ষর মুক্ত করা হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদকমুক্ত একটি আদর্শ ইউনিয়ন গড়তে নারী পুরুষের সম্মিলিত অংশগ্রহনের মাধ্যমে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ এ-ই শ্লোগানকে বাস্তবায়িত করতে চাই।
Leave a Reply