স্টাফ রিপোর্টার: নানা বিতর্ক ও ক্ষোভের মধ্যে দিয়ে জগন্নাথপুর ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের ২০তম বৃত্তি বিতরণ অনুষ্টিত হয়েছে। গতকাল শনিবার পৌর শহরের ইসহাকপুর আল-জান্নাত ইসলামিক এডুকেশন ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে আয়োজিত বৃত্তি বিতরনী অনুষ্টান শুরু থেকে অগুছালো ভাবে পরিচালিত হওয়ায় ট্রাস্টের সদস্যরা মূল মঞ্চটি দখল করে নেয়ায় সেখানে ইউএনও, এসিল্যান্ড, সহকারী পুলিশ সুপার, অফিসার ইনচার্জ সহ জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট জনেরা মঞ্চে স্থান পাননি। এসময় উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজন অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্ট দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথপুরের শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন পালন করলেও এবারের অনুষ্টানটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আয়োজকরা আমাদের দাওয়াত দিলেও নিজেরা তাদের মঞ্চ দখল করে রাখায় আমরা সভাস্থলে বিভ্রতবোধ করছি। অনুষ্টানে আসা অতিথিদের সম্মান না দিয়ে আয়োজকরা মন্ত্রীর সাথে তাদের ফটো সেশনে মঞ্চে ব্যস্ত থাকায় অনুষ্টানটির শৃংখলার বিঘœ সৃষ্টি হয়। উপস্থিত লোকজন বিট্রিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের এহেন কর্মকান্ডে হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে আসা বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে হিন্দু ধর্মালম্বী অনেক শিক্ষার্থীরা বিট্রিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের দেয়া গরুর মাংসা ধারা খাবারের তৈরী প্যাকেট অজানা খেয়ে পেললে এর অনুভব টের পেয়ে হিন্দু শিক্ষক, শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা খাবারের প্যাকেটগুলো পেলে দিয়ে ট্রাস্টের আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমাদের মধ্যে গরুর মাংসের তৈরী খাবার পরিবেশন করবে আমরা আশা করিনি। এ ব্যাপারে ট্রাস্টের সাবেক সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন, হিন্দুদের জন্য ২শ প্যাকেট চিকেনের তৈরী খাবার ছিল। হিন্দুরা যদি গরুর মাংসের খাবার খেয়ে থাকে তাহলে আমাদের কি করার আছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহ্ফুজুল আলম মাসুম জানান, হিন্দু ধর্মালম্বীদের মধ্যে গরুর মাংসের তৈরী খাবার পরিবেশনের বিষয়ে এক শিক্ষক মৌখিক অভিযোগ করেছেন।
Leave a Reply