জগন্নাথপুর অফিস: সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর মিনা রানী পালের বিরুদ্ধে মাতৃকালীন ভাতা, বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, পুঙ্গভাতা সহ বিভিন্ন ভাতার কার্ড দেয়ার নামে করে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ( ৫ মে) জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এ অভিযোগটি দায়ের করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথপুর পৌর সভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মিনা রানী পাল বিভিন্ন দপ্তরের বড় কর্তার নাম ভাংগিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ভাতা দেওয়ার নাম করে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়েছেন। টাকা নেয়ার ৩বছর অতিবাহিত হলে ও কার্ড দিতে পারেন নাই। কার্ডের জন্য আবেদনকারীরা তার সাথে যোগাযোগ করলে মিথ্যা আশ্বাস প্রদান করে বলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। মহিলা কাউন্সিলরের কথা অনুযায়ী অধিদপ্তরগুলোতে যোগাযোগ করে নামের তালিকা পাওয়া যায় নাই। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন মহিলা কাউন্সিল মীনা রানী পালের আওতাধীন ওয়ার্ডের ৫০ থেকে ৬০জন হতদরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী রাহেলা বেগম, ছালমা বেগম, ফারজানা বেগম সহ আরো অনেকেই জানায়, বর্তমান সরকার স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের দারিদ্র ও অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে তাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন আমাদের অসহায় পরিবারের দিকে থাকিয়ে মহিলা কাউন্সিলরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। মিনা রাণী পাল জগন্নাথপুর পৌর শহরের বাসুদেব বাড়ী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পিযুষ পালের স্ত্রী। এ বিষয়ে মহিলা কাউন্সিলার মীনা রানী পাল জানান, অভিযোগকারীদের মধ্যে ৫জনের কার্ড ইতিমধ্যে হয়েছে।
Leave a Reply