স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের দাসনোয়াগাঁও গ্রামের সুফি মিয়ার কিশোরী কন্যা পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলেও রবিবার (৭জুন) রাতে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রনধীর কান্তি দাস রান্টুর নেতৃত্বে বিবাহটি সম্পন্ন হয়। এবিষয়ে আজ (৮জুন) দাসনোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে মো: আরশ আলী সহ একাধিক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগটি নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ, পুলিশ সুপার সুনামগঞ্জ, অফিসার ইনচার্জ জগন্নাথপুর থানা ও চেয়ারম্যান চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ বরাবরে অনুলিপি হিসেবে দেয়া হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রনধীর কান্তি দাস রান্টুর ও দাসনোয়াগাঁও গ্রামের মৃত তবারক উল্ল্যার ছেলে আবরু মিয়ার নেতৃত্বে একই গ্রামের সুফি মিয়ার নাবালিকা কন্যার বিয়ে রবিবার (৭ জুন) রাত ঘরোয়া পরিবেশে সম্পন্ন করা হয়। দাসনোয়াগাঁও গ্রামের সুফি মিয়ার নাবালিকা কন্যা ও দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে শরিফ মিয়ার সাথে শুক্রবার (৫জুন) বিবাহর দিন ধার্য্য করা হয়েছিল। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এস আই মনির উদ্দিন ও এ এস আই শাহীন চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশদল দাসনোয়াগাঁও গ্রামে পৌছে নাবালিকা কন্যার পিতা সুফি মিয়াকে বাড়িতে না পেয়ে তার মা স্বপ্না বেগমের কাছ থেকে মেয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুছলেকা গ্রহন করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রনধীর কান্তি দাস রান্টুর দাসনোয়াগাঁও এলাকায় ইতি পূর্বে তার নেতৃত্বে একাধিক বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করেছে। গত শুক্রবার পুলিশে বিবাহ বন্ধ করে দিলেও ইউপি সদস্য রনধীর কান্তি দাস রান্টুর নেতৃত্বে রবিবার রাতে দিরাই উপজেলার বাউরী জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুস ছবুর বিবাহটি সম্পন্ন করেছেন। সরকার যেখানে বাল্য বিবাহ নিষেধ করেছেন সেখানে ইউপি সদস্য রনধীর কান্তি দাস রান্টুর নেতৃত্বে বিবাহ সম্পন্ন হয় সে বিষয়টি এখন এলাকার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বাল্য বিবাহের বিষয়ে দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বাউরী জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুস ছবুরের মুঠোফোন ০১৭২১—–৪০৪ নাম্বারে জানতে চাইলে তিনি বাল্য বিবাহ পড়ানোর বিষয়টি এ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন।
Leave a Reply