ধর্মপাশা প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বিয়ের দাবিতে পরকীয়া
প্রেমিকের বাড়িতে গত দুই দিন ধরে আবস্থান করছেন রিক্তা মনি (১৮) নামে এক প্রেমিকা।
উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের শরিশ্যাম পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মঞ্জিল খাঁর ছেলে পরকীয়া প্রেমিক জুয়েল মিয়ার বাড়িতে বুধবার বিকাল থেকে ওই প্রেমিকা আবস্থান নেন।
এদিকে জুয়েল মিয়া ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় কিছু মাতাবরগণ এ বিষয়টিকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত প্রায় ৬ বছর আগে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের গাবী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কাজল মিয়ার সাথে পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার বারহাট্রা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের আইশ্বল গ্রামের আসাদ নূরের মেয়ে রিক্তা মনির বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় দুই তিন বছর যেতে না যেতেই একেই ইউনিয়নের শরিশ্যাম পৃর্বপাড়া গ্রামের মৃত মঞ্জিল খাঁর ছেলে জুয়েল মিয়া রিত্তা মনির স্বামী কাজলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার সুবাদে প্রায়ই সে বন্ধুর বাড়িতে আসা জায়য়া করত। এরই এক পর্যায়ে জুয়েল তার বন্ধুর স্রী রিক্তা মনির সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে তাদের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কটি গভীর আকারে পৌঁছে যায়। এমনকি পরকীয়া স্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমিক জুয়েলকে আপক্তিকর অবস্থায় দেখতে পান স্বামী কাজল মিয়া।
এ সময় স্বামী কাজল মিয়া বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে বন্ধু জুয়েলকে ধরালো অস্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
এর পরেও কাজলের স্রীর রিক্তা মনির সাথে পরকীয়া প্রেমিক জুয়েলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কটি আরো কঠিন আকার ধারন করে। এক পর্যায়ে পরকীয় প্রেমিক জুয়েলের কথামতো রিক্তা মনি তার স্বামী কাজল মিয়াকে গত প্রায় তিন মাস আগে তালাক দিয়ে তিনি বাবার বাড়িতে অববস্থান নেন । এর পর থেকেই জুয়েল বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে রিক্তা মনির সাথে নিয়মিত অবৈধ ভাবে মেলামেশা করে আসছিলেন।
গত ৩-৪ ধরে দিন ধরে প্রেমিকা রিক্তা মনি তাকে বিয়া করার জন্য জুয়েলকে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু প্রেমিক জুয়েল রিক্তা মনিকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করলে নিরুপায় হয়ে রিক্তা মনি মঙ্গলবার বিকাল থেকে তাঁর পরকীয়া প্রেমিক জুয়েল মিয়ার বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। এ দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় কিছু মাতাব্বরগণ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দফায় দফায় সালিশি বৈঠক করছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানরত প্রেমিকা রিক্তা মনি মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, জুয়েলে আমাকে বিয়ে করার কথা বলায় আমি তাঁর কথামতো আমার স্বামীকে তালাক দিয়েছি।
কিন্তু সে এখন আমাকে বিয়ে না করার পায়তারা করছে তাই আমি বাধ্য হয়ে তাঁর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছি। সে আমাকে বিয়া না করলে আমার বেছে থেকে কোন লাভ নাই। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, স্থানীয় কিছু মাতাব্বর টাকার বিনিময়ে আমার এ বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমরা স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করছি মাত্র। তবে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার অভিযোগটি সম্পৃন মিথ্যা।
ধর্মপাশা থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন,
মোবাইল ফোনে এমন একটি খবর আমি পেয়েছি। তবে এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply