সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ইতিমধ্যে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভোটারদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ,উঠান বৈঠক,কোশল বিনিময়সহ পরিচিতিন জন্য লিপলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনের বেশ কয়েকমাস বাকি থাকলেও প্রার্থীরা সময় করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরছেন।
শুত্রবার দিনভর সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বিীরগাঁও ইউনিয়নের টাইল ও দূর্গাপুর গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সাথে কোশল ও মত বিনিময় করেছেন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী (পাবলিক প্রসিকিউটর) এ্যাডভোকেট দেবাংশু শেখর দাস। তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজগ্রাম টাইলা ও পাশর্^বর্তী দূর্গাপুর গ্রামের লোকজনের সাথে উঠান বৈঠকে মিলিত হন। তিনি টাইলা গ্রামের বড়বাড়ি পরিবারের সন্তান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ঠ আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জমির উদ্দিন,মোঃ আব্দুল হান্নান,সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ তোফায়েল মিয়া,সুধারঞ্জন দাস,জিতেন্দ্র কুমার দাস,শুভেন্দু শেখর দাস,দুলাল দাসসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট দেবাংশু শেখর দাস বলেন,আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার প্রিয়নেত্রী আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই নৌকা হচ্ছে স্বাধীনতার প্রতিক,মুৃক্তিযুদ্ধের প্রতিক,এই নৌকা মার্কার প্রতি সাধারন মানুষের চরম র্দূবলতা রয়েছে। তিনি বলেন স্বাধীনতা পরবর্তী আমার এই ইউনিয়নে অনেকজন জনপ্রতিনিধি নির্বাুিচত হয়ে জনগনের সেবা করেছেন। কিন্তু আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় এসে গ্রামকে শহরে পরিণত করার যে ভিশন বাস্তবায়ন হচ্ছে তার আশানুরুপ ফল কিন্তু এই ইউনিয়নের মানুষজন পাচ্ছেন না। একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে তাকে নিশ্চয়ই এই ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সমস্যা কি তা নিরুপন করেই পরিকল্পনা মাফিক সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ করলে একটি ইউনিয়নকে উন্নয়নের চকে নিয়ে আসা সম্ভব বলে মনে করেন। তিনি আরো বলেন একটি ইউনিয়নের সাধারন মানুষের মৌলিক অধিকার,শিক্ষা,স্বাস্থ্য বাসস্থান নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের চলাচলের জন্য রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেই জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে কানেকটিভি সৃষ্টি করার প্রয়োজন রয়েছে। তখন এই ইউনিয়নটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করা যাবে। তিনি বলেন আগামীতে নৌকার প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জনগনের প্রকৃত আমানত ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেন তখন জনগনের একজন সেবক হয়ে এই ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণতার অবসান ঘটিয়ে সাধারন মানুষজনকে সাথে নিয়ে ইউনিয়নের অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি মাদক,জুয়াসহ সকল ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ নির্মূল করে সকল ধর্মেরা মানুষের জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন গড়ে তোলার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply