মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদিঃ
জগন্নাথপুরে কলকলিয়া মৌজায় সরকার কর্তৃক বন্দোবস্ত দেওয়া খাস ভূমির বন্দোবস্ত বাতিলের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন ছুরুক মিয়া নামক এক ব্যক্তি। এরই পরিপেক্ষিতে কলকলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়া এই ভূমি পরিদর্শন ও তদন্ত করেছেন ।
জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত বালিকান্দী গ্রাম নিবাসী মৃত মোঃ সুফি মিয়ার স্ত্রী মালা বিবি,আব্দুল ওয়াহাব এর স্ত্রী মোছাঃ সুলতানা বেগম ও মৃত মোঃ আবিল কালাম এর বাক প্রতিবন্ধী স্ত্রী রূপিয়া বেগম দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে উপজেলার কলকলিয়া মৌজা, খতিয়ান নং ৩১০, দাগ নং ৪ এবং জেএল নং ১৮ এর অন্তর্ভুক্ত খাস ভূমি ভোগ দখল করে আশার পাশাপাশি সরকারি ভাবে বরাদ্দ প্রাপ্ত ( বন্দোবস্ত প্রাপ্ত) হয়েছেন। তাদের দালিলিক প্রমাণাদি রয়েছে। সম্প্রতি এই ভূমির বন্দোবস্ত বাতিল ও দখল মুক্ত করার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে বাদী হয়ে একই উপজেলার বালিকান্দী মোকামপাড়া গ্রাম নিবাসী মৃত মোঃ জাহির আলীর ছেলে ভূমিহীন মোঃ ছুরুক মিয়া সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরই পরিপেক্ষিতে জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ মহোদয় এর নির্দেশনাক্রমে ৭ ই অক্টোবর বিকাল প্রায় ১ ঘটিকার দিকে ইউনিয়ন ভূমি অফিস কলকলিয়ার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়া বর্নীত ভূমি পরিদর্শন করার পাশাপাশি সঠিক তদন্তের স্বার্থে স্থানীয়দের মতবিনিময় করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাউল শিল্পী সাহাব উদ্দিন, মোঃ ফটিক মিয়া, মোঃ বাদশা মিয়া মোঃ শফিকুজ্জামান,আব্দুল কাদির,কামাল হোসেন লিলু, আব্দুল খালিক,জমির মিয়া, খালিক মিয়া,মনির মিয়া,আব্দুল কদ্দুস, ছুরুক মিয়া, জনিক মিয়া, আলী, লিটন দাস ও ফয়জুল হক সহ নারী-পুরুষ আরো অনেকেই।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, সঠিক তদন্তের স্বার্থে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যাক্তির সাথে আলাপ করে যতটুকু জানতে পেরেছি তা আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করব।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বিবাদী মালা বিবি, রূপিয়া বেগম ও সুলতানা বেগম এর কাগজ পত্র দেখেছি। ছুরুক মিয়া কর্তৃক অভিযোগকৃত ভূমিতে বিবাদীগনের বসত ঘর সহ গাছপালা রয়েছে।
Leave a Reply