সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন,জাতির পিতা বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুৃজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে প্রতিটি ধর্মের তৎকালীন সাড়ে সাতকোটি মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে দীর্ঘ নয়মাস মরণপণ লড়াই করে এই দেশটিকে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যে দেশটির মূলমন্ত্র ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। যেখানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নির্বিঘ্নে এবং নিরাপদে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করবেন। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়টাতে কিছু বিপদগামী সেনা অফিসার ও স্বাধীনতা বিরোধীরা মিলে স্বাধীন বাংলার স্থপতিকে ১৫ই আগষ্ট স্বপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে সেই শ্লোগান অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছিল । পরবর্তীতে জেনারেল জিয়া ও মোস্তাক বন্দুকের নলে ক্ষমতায় এসে এই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে রুখে দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামে একটি কালো আইন প্রণয়ন করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার কার্য বন্ধ করে দেন। তারা সেই সময় হত্যাকারীদের বিদেশী বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। কিন্তু তার সুযোগ্য উত্তরসূরী আজকের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এদেশের জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে প্রথমেই অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ বির্নিমাণে কাজ শুরু করেন। তিনি আস্তে আস্তে ইনডেমনিটি নামের এই কালো আইনটি সংসদে তুলে মেজরিটি সংসদ সদস্যদের সমর্থনে তা বাতিল করে জাতির পিতার খুৃনীদের বিচার কার্যক্রম শুরু করে দেশের প্রচলিত আইনে তাদের ফাসিঁর রায় কার্যকর করে জাতিকে কলংঙ্কমুক্ত করেন । তিনি বলেন আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে তা বিশ^বাসী অনুকরণ করছে। এই সরকারের আমলে দেশে সকল ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে যাচ্ছেন এতে অন্যান্য ধর্মের লোকজন তাতে অংশগ্রহন করে প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। গত তিন দশক ধরে এই দেশে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে অত্যন্ত নির্বিঘ্নে সকল ধর্মের মানুুষ তাদের ধর্মকর্ম পালন করলেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের ইতিহাসে সুনামগঞ্জ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত। এই জেলায় প্রতিটি ধর্মের মানুষের মাঝে যে ঐক্য ও সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে তা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামী দূর্গাপূজায় প্রতিটি পূজামন্ডপে আনসার ও পুলিশ সদস্য মোতায়েনে হিন্দু কমিউনিটির নেতাদের দাবীর জবাবে মুকুট বলেন তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে আলাপ করে প্রতিটি পূজামন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার ও পুলিশ সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্থ করেন। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে যেকোন ধরনের দূযোর্গ কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে হিন্দু কমিউনিটির সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সুনামগঞ্জের উন্নয়নের রুপকার পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
তিনি বুধবার রাত ৮টায় সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের আয়োজনে হিন্দু কমিউনিটি নেতৃবৃন্দেদের সাথে শহরের মল্লিকপুরস্থ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানে কার্যালয়ে দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ ও প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দা শমশাদ বেগমের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ও ষোলঘরস্থ রামকৃষ্ণ আশ্রমের সভাপতি পরিমল কান্তি দে,সাধারন সম্পাদক ও শিক্ষাবিদ যোগেশ^র দাস. শুক্লা রায় চৌধুরী,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু,মতিলাল চন্দ,তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. বিমান কান্তি রায়,সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক,শ্যাম প্রদীপ কুমার চৌধুরী,দূর্গাবাড়ি পূজা কমিটির সভাপতি বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী,সাধারন সম্পাদক সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন,পৌর কমিটির সভাপতি সন্তোষ রায়, সাধারন সম্পাদক বিপ্রেশ রায় বাপ্পী,নারায়ন চক্রবর্তী,বাপ্পী দাস,শংকর বণিক,বিজন রায়,সুজিত দে,গৌরাংঙ্গ বণিক,সুমু,লিটন কর চয়ন দাস,চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মিলটন পুরকায়স্থ ও কপিল তালুকদারসহ বিভিন্ন পাড়া পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply