আনোয়ার হোসেন লন্ডন থেকে ::
২০২১ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ওয়ার্ক পারমিটের শর্ত শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এর ফলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের ব্রিটেনে পড়াশোনা ও কাজের সুযোগ পুনরায় উন্মুক্ত হচ্ছে।  অক্টোবরের ৫ তারিখ থেকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য নতুন পয়েন্ট ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ায় ৮০ ভাগ আবেদনকারী ভিসা পাচ্ছেন। রেক্সিট পরবর্তী সময় ও করোনার মন্দা সামনে রেখে ব্রিটেনের ভিসা সহজ করা হলো। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার কনসালটেন্সির জন্য পূর্ব লন্ডনে এরই মধ্যে গজিয়ে উঠেছে নতুন নতুন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। ঢাকাসহ প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটেও রীতিমতো পোস্টার-লিফলেট বিলি করে শুরু হয়েছে ব্রিটেনের স্টুডেন্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রসেসিং ব্যবসা। অনলাইনেও চলছে চটকদার প্রচার। ব্রিটেনে অভিবাসন বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা অভিজ্ঞজনরা বলছেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে স্টুডেন্ট বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। এর মূল কারণ ছিল উচ্চ টিউশন ফি, স্টুডেন্ট ভিসায় কলেজ পর্যায়ে কাজের সুযোগ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসা। অতীতের পরিসংখ্যান আর এখনকার বাস্তবতায় যে ইঙ্গিত পাওয়া যায় তা হলো, অর্থনীতি যখনই তুলনামূলক খারাপ অবস্থায় পড়ে তখনই বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশগুলো থেকে স্টুডেন্ট বা ওয়ার্ক পারমিটে মানুষ আসার পথ খুলে দেয় ব্রিটেন।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় করোনাকালে ব্রিটেনের সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন শর্ত শিথিল করায় এ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ব্রিটেনে আসছেন। এদিকে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রেও আগামী জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন শর্ত শিথিল করা হয়েছে। দক্ষ শ্রমিক (স্কিল ওয়ার্কার) রুটে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘লেভেল সিক্স’র যোগ্যতা চাওয়া হলেও জানুয়ারি থেকে তা ‘লেভেল থ্রি’তে নামিয়ে আনা হচ্ছে। ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইজারি কমিটি (ম্যাক) কর্মী স্বল্পতা থাকা পেশার তালিকায় নতুন করে ৭০টি পেশার প্রস্তাব করেছে। এতে নতুন করে বহু মানুষের পক্ষে ব্রিটেনে আসার পথ সুগম হবে।
Leave a Reply