স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের চিলাউড়া বরবাড়ি গ্রামে চোরকে আটক করে ছেড়ে দেওযার পর চোরের পিতার দায়ের করা মামলায় কাজল মিয়া ও তার পরিবার বিপাকে পড়েছে। সরজমিনে গেলে জানাযায়,জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের চিলাউড়া বরবাড়ি গ্রামের কাজল মিয়ার বসত ঘরে ১০ অক্টোবর রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা কাজল মিয়ার ঘরে ডুকে তার ছেলে ঝুনু মিয়ার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে পাইলে যাওযার সময় ঝুনু মিয়া টের পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করলে এলাকাবাসি একই এলাকার হারুন মিয়া ওরফে পুলু মিয়ার ছেলে সুবেল মিয়াকে আটক করলে ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
গৃহকর্তা কাজল মিয়া জানান, ১০ অক্টোবর আমার ঘরে একদল চোর ডুকে আমার ছেলে ঝুনু মিয়ার শিয়রে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ ৯হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওযার সময় আমার ছেলে টের পেয়ে চিৎকার করলে এলাকা বাসী হারুন মিয়া ওরফে পুলু চোরের ছেলে সুবেল মিয়াকে আটক করে। কিন্তু এই সময় তার সাথে থাকা সহযোগীরা দৌড়ে পালিয়ে যায় । সুবেল মিয়াকে আটকের খবর স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মিয়াকে অবগত করলে তিনি এসে ইউপি সদস্য সুজাত মিয়াকে মোবাইল ফোনে ঘটনা স্থলে আসার অনুরোধ করেন। পরে সুজাত মেম্বার ও এলাকার মুরব্বিদের সাথে আলোচনা করেন বাবুল মেম্বার। আমার ছেলের মোবাইল ও টাকা চোর সুবেল মিয়ার নিকট থেকে উদ্ধার করে দিবেন এই সিন্ধান্তে সুবেল মিয়াকে থানায় না দিয়ে ছাড়িয়ে নেন বাবুল মেম্বার ।
কাজল মিয়া আরো জানান, গ্রাম্য ভিবিন্ন বিরোধকে কেন্দ্র করে চুরির ঘটনা কে ভিন্ন খাতে নিতে একটি মহলের সহযোগিতায় চোর সুবেলের পিতা হারুন মিয়া ওরফে পুলু চোর বাদী হয়ে চোর সুবেলকে মারধরের অভিযোগ এনে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর পর পুলিশ আমার ছেলে ঝুনু মিয়াকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। চোর আটক করে এলাকাবাসী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সম্মান জানিয়ে থানায় না দেওয়ার কারনে আজ আমি ও আমার ছেলে মামলার আসামী। আমি এই মামলার সুষ্ট তদন্তের দাবী জানাই। এলাকাবাসী জানান, সুবেল একজন চিহিৃত চোর , তার পিতা হারুন মিয়া এলাকার বিখ্যাত চোর ছিল,সে এলাকায় পুলু চোর নামে পরিচিত। বর্তমানে পুলু চোরের ছেলে সুবেল মিয়া মদ, গাঁজা সেবনসহ এলাকায় চুরির সাথে জড়িত।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো: সুজাত মিয়া জানান, আমাকে আমাদের ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া মোবাইল ফোনে চুরির ঘটনার কথা বলে কাজল মিয়ার বাড়িতে আসতে অনুরোধ করলে আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে বাবুল মেম্বারের অনুরোধে সুবেল মিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সুবেল মিয়া এলাকার একজন মাদক সেবি সে গাজা মদ চুরি সহ ভিবিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। সুজাত মিয়া অরো বলেন সুবেলের পিতা অত্র এলাকার বিশিষ্ট চোর ছিল তাকে সবাই পুলু চোরা বলে ছিনে। এই বিষয়ে জানতে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য বাবুল মিয়ার মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করে ও ফোন রিছিবনা করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply