স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে নারীসহ ৮ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো ভর্তি করা হয় ।
এ ঘটনায় কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ ১২ জনকে আটক করেছে জগনাথপুর থানা পুলিশ ও একটি লাইসেন্সকৃত বন্দুক উদ্ধার করা হয় ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, নাদামপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজ মিয়ার সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা নজির হোসেনের মধ্যে গ্রামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার গ্রামের এক ব্যক্তির চল্লিশদিনের শিরনী নিয়ে সিরাজ মিয়ার সাথে নজির হোসেনের পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
আর এরই জের ধরে বুধবার দুপুরে নজির হোসেনের পক্ষের লোকজনের হাতে সিরাজ মিয়া লাঞ্ছিত হন। এরপর সিরাজ মিয়ার পক্ষের লোকজন বন্দুক দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ভাবে ১০ রাউন্ড গুলি চুরা হয়। এতে কমপক্ষে ১৬ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৮ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়।
গুলিবিদ্ধ আহতরা হলেন, ফটিক মিয়া(৩৫), বিবিনুর বেগম(৫০), ফাতেমা বেগম(১৪), আব্দুল আলীম(৩০) হাফিজুর রহমান (২৫), মিটু মিয়া(২২), তাসলিমা(১৪), রুমেজ মিয়া(৩২)।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিরাজ মিয়ার নামের একটি লাইসেন্সকৃত বন্দুক উদ্বারসহ ১২ জনকে আটক করে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শাহ আলম সিদ্দিকী জানান, গুলিবিদ্ধ ৮ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি বন্দুক উদ্ধারসহ উভয় পক্ষের ১২ জনকে আটক করা হয়েছে
Leave a Reply