স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট জেলার ওসমানী নগর থানার বেগমপুর সিএনজি স্টেশনে যাত্রী হয়রানী ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গনজামায়েত ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। আজ রবিবার ( ২০ ডিসেম্বর) জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের বৃহত্তর বড়ফেছি বাজারে প্রতিবাদ সভায় এলাকার সর্বস্তরের নাগরিকদের উপস্থিতিতে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আবু ঈমানীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মখলুছ মিয়া, আশারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মসহুদ আহমদ, সাবেক ইউপি সদস্য শাহ খায়রুল ইসলাম, মো: খলিল মিয়া, হরুপ খান, আবু সাঈদ, এলাইচ মিয়া, ইউপি সদস্য দুরুদ মিয়া, ইউপি সদস্য বকুল দাস, সাবেক ইউপি সদস্য মো: সাব্বির আহমদ, সাবেক মেম্বার লেচু মিয়া, মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান মুরাদ, ইজাজুল মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য হাজি ছালিক মিয়া প্রমূখ। এসময় আশারকান্দি ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা কাজি আব্দুল মুমিন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা গত ১৪ ডিসেম্বর ফেছি গ্রামের মুজাহিদ মিয়া হিরন নামে এক যাত্রীকে হয়রানী ও নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে বলেন প্রায় সময় বেগমপুর সিএনজি স্ট্যান্ডের চালকরা যাত্রীদের হয়রানী করে থাকেন। গত ১৪ ডিসেম্বর হিরন মিয়া তার এক নিকট আত্মীয়র মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ওসমানী নগরের তাজপুর যাওয়ার পথে বেগমপুর নামকস্থানে তাকে নির্যাতন করে আহত করে এবং তার সাথে থাকা নগদ ৩০হাজার টাকা নিয়ে যায়। বক্তারা অবিলম্বে যাত্রী হয়রানী বন্ধসহ নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। এবিষয়ে মুজাহিদ মিয়া হিরনের ভাই শাহ শেরওয়ান জানান, আমার ভাই ওসমানী নগরের তাজপুর আমার ফুফার জানাযার নামাজে অংশ গ্রহনের জন্য যাওয়ার পথে বেগমপুর এলাকায় সিএনজি চালক কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি আমার ভাইয়ের মত আর কোন যাত্রী যেন নির্যাতনের শিকার না হয় সে জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
Leave a Reply