সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ শাল্লা উপজেলার বরামের হাওরকে অবৈধ কুচক্রী মহলের দখল থেকে অবৈধ ভাবে চেচ মেশিন দিয়ে মৎস আহরণ, ফসলী জমি বিনষ্ট মুক্ত করে হাজার হাজার কৃষকের ফসলী জমি রক্ষার দাবীতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারী ২০২১ইং তারিখে ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ বরাবরে গ্রামবাসীর পক্ষে ৯জনের বিরুদ্ধে শাল্লা উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের মৃত ঈশ^র চন্দ্র দাসের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎ চন্দ্র দাস এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন দিরাই উপজেলার নাছনি গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে স্বাধীন মিয়া(৪০), মৃত তোতা মিয়ার ছেলে কেরামত আলী(৭০), ইমামত আলী(৬৫),ইনাত আলী (৫৫), কেরামত আলীর ছেলে মির্জা হোসেন(৩০), ছাও মিয়ার ছেলে আলাম উদ্দিন (৪৮),আনোয়ারুল হোসেন (২৭),। এছাড়াও গত ২২আগষ্ট২০২০ইং তারিখে শাল্লা উপজেলার নোওয়া গাও গ্রামের মৃত বামাচরন দাশের ছেলে হরিপদ দাশ ৬জনের বিরুদ্ধে শাল্লা উপজেলার নির্বাহী অফিসার বরাবরে এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাল্লা থানা বরাবরে দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বিবাদী স্বাধীন মিয়া গংরা বরামের হাওরের একমাত্র সুইচগেইটের হ্যান্ডেল নিয়ে যায় ঐ হ্যান্ডেল উদ্বার করাসহ এবং সুইচ গেইটে বল্ক উঠাইয়া অবৈধ ভাবে ওয়াবদার জায়গায় মাটি খনন করে নিয়ে যায় এছাড়াও সুইচ গেইট যে কোন মুহুর্তে মারাতœক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বরামের হাওরের কৃষকদের ফসলী জমি ক্ষতি স্বাধনের পায়তারা করছে ঐ কুচক্রী মহলটি। কুচক্রী মহলে হাত থেকে বরামের হাওরের মৎস্য আহরণ এবং ফসলী জমি রক্ষার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানানো হয়।
এব্যাপারে অভিযুক্ত স্বাধীন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিলের তলা শুকিয়ে মৎস্য আহরনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার এস আই মো. আব্দুল করিম জানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিলে গিয়ে দেখা যাচ্ছে মৎস্য আহরনে বিল শুকানো হচ্ছে না।
Leave a Reply