শাল্লা প্রতিনিধি-
সুনামগঞ্জের শাল্লায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ/মেরামত কাজের পিআইসি’তে (প্রকল্প বাস্তাবায়ন কমিটি) ইউপি চেয়ারম্যানের লোককে না রাখায় পওর বিভাগের শাল্লা শাখা কর্মকর্তা ও উপ-সহকারি প্রকৌশলীকে সরকারি অফিসে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন এবং প্রকাশ্যভাবে তাকে লাঞ্ছিত করেন উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।
জানা যায়, উপজেলার বরাম হাওর উপ-প্রকল্পের ৩৯ নং প্রকল্পে জ্যোতিষ চন্দ্র মজুমদার সভাপতি ও রমেন্দ্র দাস সদস্য সচিব হিসেবে একটি পিআইসি দাখিল করা হয়। যাতে ওই ইউপি চেয়ারম্যান সুপারিশ করেন। অন্যদিকে দাখিলকৃত পিআইসি’র সদস্য সচিব একজন প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে মুজিব শর্তবর্ষে প্রধানমন্ত্রির আশ্রয়ন-২ প্রকল্পে একটি ঘর উপহার পেয়েছেন মর্মে হবিবপুর ইউনিয়নের বকুল চন্দ্র দাস নামের এক লোক সংশ্লিষ্ট কমিটিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দায়েরকৃত অভিযোগ ও গণশুনানীতে বাপাউবো’র উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মুক্তাদির হোসেনের নিকট সদস্য সচিব রমেন্দ্র দাস অযোগ্য বিবেচিত হওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে ওই গ্রামের শৈলেন চন্দ্র দাসকে ওই পিআইসি’তে সভাপতি নির্বাচিত করেন। আর এবিষয়টিকে কেন্দ্র করেই চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল পওর বিভাগের শাল্লা শাখা কর্মকর্তা ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাইয়ুমের প্রতি ক্ষিপ্ত হন।
এবিষয়ে পওর বিভাগের শাল্লা শাখা কর্মকর্তা ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাইয়ুমের সাথে র্সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি বলেন, কাজের অনেক বেশী চাপ থাকায় আমি মাগরিবের নামাজ আদায় করে অফিসে আসলে চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল বাবু আমার অফিসে এসে কোনোকিছু জিজ্ঞেস না করেই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকেন এবং আমি অনেক বেরে গেছি মর্মে আমাকে হুমকি দেন। আমি উনাকে বসার কথা বললে উনি আরো ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে বাইরে আসার হুমকি দেন। ওইসময় আমার অফিসের অন্যন্যা কর্মচারীগণও হতবাক হয়ে যান। ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার কেন আপনার সাথে এরূপ আচরণ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বরাম হাওর উপ-প্রকল্পের ৩৯ নং প্রকল্পে (পিআইসি) চেয়ারম্যানের লোক জ্যোতিষ চন্দ্র মজুমদার সভাপতি ও রমেন্দ্র দাস সদস্য সচিব হিসেবে একটি পিআইসি দাখিল করে, যাতে ওই চেয়ারম্যান সাহেব সুপারিশ করেন। কিন্তু দাখিলকৃত পিআইসি’র সদস্য সচিব একজন প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীণ হিসেবে মুজিব শতবর্ষে সকালের আশ্রয়ণ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রির আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের একজন সুবিধাভোগী হওয়ায় উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রমেন্দ্র দাসকে বাদ দিয়ে ওই পিআইসি’তে শৈলেন চন্দ্র দাসকে সভাপতি ও জ্যোতিষ চন্দ্র মজুমদারকে সদস্য সচিব করায় তিনি আমাকে দায়ী করছেন এবং আমার সাথে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমার অফিসের অন্যন্যা কর্মচারীগণ ইউপি চেয়ারম্যানের এরূপ ঔদাত্যপূর্ণ আচরণে অনেক জরুরি কাজ ফেলে বসে আছেন।
এব্যাপারে বাপাউবো’র উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেরা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল মুক্তাদির হোসেনের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাইয়ূম আমাকে অবহিত করেছেন, এখন আমি বাইরে আছি, স্টেশনে পৌঁছেই বিষয়টি দেখবো।
এবিষয়ে হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুলের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি পরে দেখা হবে।
Leave a Reply